রাজধানীর লালবাগে তরুনী ধর্ষনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জাতীয় নারী আন্দোলনের

রাজধানীর লালবাগ থেকে তরুণীকে তুলে নিয়ে চারদিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করে জাতীয় নারী আন্দোলন সভাপতি মিতা রহমান, সহ-সভাপতি জীবন নাহার, সাধারন সম্পাদক নাজমা আক্তার, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারা বেগম ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাকলি রহমান ধর্ষণকারী প্রধান অভিযুক্ত মনির হোসেন শুভসহ সকল আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এই দাবী জানান।

তারা বলেন, সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে ও রাষ্ট্রের শাসকগোষ্টির ব্যর্থতায় চারদিকে চলছে যৌন হয়রানী। চলছে যৌন সন্ত্রাসীদের হামলা। খবরের কাগজে ফেসবুকের টাইমলাইনে একই খবর ‘ধর্ষণ’। মহামারী করোনা ভাইরাসের পর পরই এ যেনো আরেক ভাইরাসে ভাসছে দেশ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ে ধর্ষনের নানা ঘটনার খবর। গ্রামে কিংবা শহরে, বাড়িতে কিংবা রাস্তায়, অফিসে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনকি চলমান বাসে পর্যন্ত, একথায় বলা চলে প্রায় সর্বত্রই ঘটছে এমন ন্যাক্কাড় জনক ঘটনা। ধর্ষণ এখন ডাল-ভাতের মত হয়ে উঠেছে।

তারা আরো বলেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধকে লঘূকরণ করা বন্ধ হোক। ধর্ষণ অসামাজিক শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরাধী শাস্তি না পেলে সে বার বার অপরাধমুলক কাজ করে তাতে অপরাধ বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে অন্যরা অপরাধে জড়াতে উৎসাহিত হয়। তাই ধর্ষণকারীকে বিচরের মাধ্যমে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন যাতে অন্যেরা ভবিষ্যতে এমনটি করার সাহস না পায়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে প্রতিদিন ধর্ষণের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাতে অল্পদিনের মধ্যেই করোনা ভাইরাসের চেয়ে ভয়াবহ রুপ নিবে। এই সামাজিক ব্যধি থেকে কেউ রেহাই পাবোনা। সমাজে যত অপকর্ম হয় তার মধ্যে সবচেয়ে ঘৃনিত ও লজ্জিত অপকর্ম হলো ধর্ষণ।

তারা বলেন, ধর্ষণ হত্যার চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ। তাই ধর্ষণকারীদের যে প্রচলিত আইন আছে তা সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করার দাবি জানাচ্ছি।