সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কৃষক লীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থবির
ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরেও শাহজাদপুর উপজেলা কৃষক লীগ ঘোচাতে পারেনি দৈন্যদশা। বরং বলা চলে পুরোপুরি স্থবির হয়ে গেছে কৃষক লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। শাহজাদপুর উপজেলা কৃষক লীগে পদ প্রত্যাশি একাধিক নেতা-কর্মী অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে কেবলমাত্র দুজন ব্যক্তি একটি সংগঠনকে করায়ত্ব করে রেখেছেন। সেইসাথে সমন্বয় হীনতা, সাংগঠনিক অদক্ষতার কারণে দীর্ঘ চার বছরেও শাহজাদপুর উপজেলা কৃষক লীগ আলাদা অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারেনি। এমনকি ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথেও নেই কোন যোগাযোগ। একই সাথে পদ পাওয়ার পর থেকেই দীর্ঘদিন সংগঠনের সভাপতি বিদেশে অবস্থান করার ফলে কার্যক্রম একেবারে স্থবির হয়ে যায়। এর ফলে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরেও সাংগঠনিক শক্তি অর্জন করতে পারেনি শাহজাদপুর উপজেলা কৃষক লীগ।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল হুমায়ুন কবির টিপুকে আহ্বায়ক করে এবং আরও তিনজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক দিয়ে ৩ মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঐ বছরেই আব্দুল মান্নান বেপারীকে সভাপতি এবং কে এম শরিফুল ইসলাম মণিকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি করা হয়। এরপর থেকেই সংগঠনটি স্থবির হয়ে পড়ে। কোনরকম রাজনৈতিক প্রগ্রামে উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ নেই, উপজেলা আওয়ামী রাজনীতির সাথেও রাখা হয়নি সাংগঠনিক ভাবে যোগাযোগ। এমনকি তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে কোন রকম কাজ করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে সংগঠনটির দুই কর্ণধারের বিরুদ্ধে। এদিকে যে দুজন ব্যাক্তির নামে সংগঠন চলছে সেই কমিটির নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যায় না কোথাও।
অপরদিকে উপজেলা কৃষক লীগে পদ প্রত্যাশি একধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বর্তমান নেতৃত্বের উপর। তারা অভিযোগ করে বলেন, যে দু’জনকে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা পুরোপুরি ব্যার্থ। সংগঠনের প্রতি তাদের ন্যূনতম দরদও নেই। তাছাড়া এ দজনের কেউই সাংগঠনিক লোক না। এরা এই সংগঠনে থাকলে শাহজাদপুরে কখনোই কৃষক লীগ আলাদা শক্তি হিসেবে দাড়াতে পারবে না। এমনকি শাহজাদপুর থেকে কৃষক লীগের অস্তিত্বই থাকবে কিনা সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাহজাদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, কৃষক লীগের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন নিজেদের করায়ত্বে রাখতে দুজন অদক্ষ লোকের নাম বসিয়ে কমিটি করে রেখেছে। আবার যে কমিটি করা হয়েছে সেই কমিটিরও কোন নথি নেই কারো কাছে। এদের কোন কার্যক্রম না থাকায় শাহজাদপুরে কৃষক লীগ আসলে আছে কিনা সেটাই বলা মুশকিল।
এ সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বেপারীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নিরবে নিভৃতে হলেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কেউ যদি কাজ না করতে চায় তাহলে তো জোড় করে সংগঠন করানো যায় না। তবে আমারা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি সংগঠনকে গতিশীল করার জন্য।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন