ক্ষমতাধরেরা শুধু দেখছে, আমরা একাই লড়ছি : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাউকেই পাশে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমিরি জেলেনস্কি বলেছেন, বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো শুধু দেখছে, আর আমরা একাই লড়ছি। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর বড় দেশগুলো দূর থেকে দেখছে। কোনো দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠায়নি।

শুক্রবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা একাই আমাদের দেশ রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে কে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত? আমি কাউকেই দেখি না। ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার নিশ্চয়তা ইউক্রেনকে দিতে কে প্রস্তুত? সবাই ভয় পেয়েছে।’

জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে কোনো সহায়তা পায়নি। ইউক্রেনের বাহিনীর প্রশংসা করে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের সেনারা অসাধারণ কাজ করছে। ইউক্রেনজুড়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দারুণ দক্ষতা দেখিয়েছে তারা। জেলেনস্কির অভিযোগ, রাশিয়াপন্থীরা রাজধানী কিয়েভে ঢুকে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা শুরু করেছে।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, হামলার প্রথম দিন বেসামরিক নাগরিকসহ তার দেশের ১৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৬ জন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সামরিক জোট ন্যাটোসহ অনেক দেশ রাশিয়ার হামলার কঠোর সমালোচনা করছে। মস্কোর ওপর অবরোধও আরোপ করছে। তবে জেলেনস্কির প্রত্যাশা ছিল হামলার শিকার হলে সামরিক সহায়তা পাবেন তাদের কাছ থেকে। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নতুন করে রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপের কথা বললেও সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম কিংবা সেনা পাঠানোর কথা বলেনি।

সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো পরকিল্পনা নেই।

ইউক্রেনে আজ দ্বিতীয় দিনের মতো হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনারা রাজধানী কিয়েভে ঢুকে পড়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালসের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, এই লড়াই শুরু হওয়ার পর ৪৫০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।