শহর-গ্রামে অর্থবহ জীবন নিশ্চিত করতে চায় সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শহর ও গ্রামের প্রতিটি নাগরিকের অর্থবহ জীবন নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সীমিত শক্তি দিয়ে হলেও রাজধানীকে আধুনিক করার চেষ্টা চলছে।

পরিকল্পিতভাবে ঢাকা শহর গড়ে ওঠেনি বলে ধীরে ধীরে এটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। মূল ঢাকার চেয়েও ডিএনসিসিতে সংযুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ড আরও সুন্দরভাবে গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

ডিএনসিসির নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

উন্নয়ন ও সেবার মাত্রা বাড়াতে ২০১১ সালে দ্বিখণ্ডিত ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনে ৩৬টি ওয়ার্ডের সঙ্গে ২০১৭ সালে যুক্ত হয় পার্শ্ববর্তী ৮টি ইউনিয়ন। ফলে ৩৬টি ওয়ার্ডের এই করপোরেশন এখন ৫৪টিতে উন্নীত হয়েছে। অবশেষে সিদ্ধান্তের পাঁচ বছর পরে নতুন করে যোগ হওয়া ১৮টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের সিটি করপোরেশনের সুবিধা দেওয়ার কাজ শুরু হলো।

পিছিয়ে থাকা এসব শহরতলী এবার নতুন করে সাজবে উন্নয়ন প্রকল্পে। কাঁচা রাস্তার বদলে হবে ৪৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তা। থাকবে ২৩৪ কিলোমিটার ড্রেন, লাগানো হবে এলইডি বাতি। এসব কাজ শেষ হবে পরের বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই।

সবার জন্য অর্থবহ জীবন নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ঢাকায় থেকে যাওয়া বিহারিদের জন্যও আবাসনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নগরের বাসযোগ্যতা রক্ষায় নাগরিকদের গাছ লাগানোর পাশাপাশি পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ঢাকা যেভাবে গড়ে উঠেছে, এই নতুন ১৮টি ওয়ার্ড যেভাবে গড়ে উঠবে না। এই ওয়ার্ডগুলোতে নিয়মিত গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ-সুয়ারেজের লাইনের জন্য রাস্তা খুঁড়তে হবে না। পরিকল্পিতভাবে এবং আধুনিক সব সুবিধা নিয়ে এসব গড়ে উঠবে। ফলে জনগণ উন্নত জীবনযাপন করতে পারবে।’

রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে। খনন করার কাজ চলছে। ইতোমধ্যে নদীর সীমানা পিলার বসানো হয়েছে। ফলে শহরের পানি নিষ্কাশনব্যবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে বলেও জানান তাজুল ইসলাম।