আলোচনার জন্য ইসরায়েল ভালো জায়গা: জেলেনস্কি
ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের শান্তি আলোচনার ব্যবস্থা করার জন্য ইসরায়েল অনেক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে, বৈঠকটি জেরুজালেমে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রোববার (২০ মার্চ) তিনি এ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
ভার্চুয়ালি ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার পরে ইউক্রেনীয়দের উদ্দেশে দেওয়া নিয়মিত ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করছেন। অবশ্যই ইসরায়েলের স্বার্থ আছে, নাগরিকদের রক্ষার কৌশল আছে। আমরা সবই বুঝি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আলোচনার পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন উল্লেখ করে জেলেনস্কি আরও বলেন, আমরা তার প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞ। আগে হোক বা পরে, রাশিয়ার সঙ্গে আমরা আলোচনা শুরু করব। আর তা সম্ভবত জেরুজালেমেই হবে। শান্তি খুঁজে পাওয়ার এটাই সঠিক জায়গা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা আগে থেকে অনুমান করা কঠিন। তবে প্রতিনিয়ত যুদ্ধক্ষেত্রে সংঘাতের নানা খবর, হতাহতদের স্বজনদের বিলাপ, বাস্তুচ্যুতদের দুর্ভোগ, অর্থনৈতিক স্থবিরতা ভাবাচ্ছে কমবেশি সবাইকে। ফলে অব্যাহত রয়েছে সংকট সমাধানের চেষ্টাও। সেই চেষ্টা থেকে এর চার দফায় বৈঠক হয়েছে মস্কো ও কিয়েভের প্রতিনিধিদের মধ্যে। যদিও সেখান থেকে কার্যকর কোনো সমাধান আসেনি।
এদিকে দুই পক্ষের আলোচনার মধ্যেও ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় হামলা-সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (২০ মার্চ) ইউক্রেনে ‘কিনঝাল’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়ার সেনারা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতির এই কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর একটি স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
শনিবার (১৯ মার্চ) ও রোববার (২০ মার্চ) ইউক্রেন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। এর মধ্যে শনিবারের হামলায় একটি প্ল্যান্ট পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই প্ল্যান্টে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের সাঁজোয়া যানগুলো মেরামত করা হতো। আর রোববার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় একটি তেল মজুতের স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ২০১৪ সালে দখলকৃত ক্রিমিয়ার আকাশসীমা থেকে ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত চলতে পারে রাশিয়ার তৈরি নতুন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনঝাল। ফাঁকি দিতে পারে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকেও। রাশিয়ার তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি উঠতে পারে ঘণ্টায় সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। সর্বোচ্চ ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে এটি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন