নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
নরসিংদীর রায়পুরায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে। এসময় অন্তত ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৭ মার্চ) ভোরে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের গৌরিপুর গ্রামে মোল্লা বাড়ী ও পাঠান বাড়ীর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ১জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রায়পুরা থানার এসআই রাকিবুল হালিম।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম আজহার মিয়া (৪৫)। তিনি গৌরিপুর গ্রামের মৃত আয়দার আলী মিয়ার ছেলে। সে মালবাহী নৌকায় মাঝির কাজ করতো বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই মুছাপুর গ্রামের পাঠান বাড়ি ও মোল্লা বাড়ির মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছিলো। এর আগেও তারা বেশ কয়েকবার সংঘর্ষে জড়ায়। বিগত ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থী হোসেন ভূইয়া এবং বিদ্রোহী প্রার্থী সানাউল্লাহ ভূইয়ার সমর্থনে বিভক্ত হয়ে পড়ে গৌরীপুর গ্রামের আওয়ামিলীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। তারপর থেকেই কিছুদিন পর পর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই চেয়ারম্যানের সমর্থক মোল্লা বাড়ী ও পাঠান বাড়ী। কিছুদিন আগেও দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লোটপাটের ঘটনা ঘটে।
রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পাঠান বাড়ির লোকজন মোল্লা বাড়ীর বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লোটপাট করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সম্প্রতি কথা কাটাকাটির জেরে শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এক দল অন্য দলের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলার সময় রবিবার ভোরে একজন নিহত হয় এবং অন্তত ৫ জন আহত হয়। তবে তারা কোন দলের সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত।
মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেন ভূইয়া জানান, তাদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। দুই দিন আগেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিলো, নিজেরা নিজেদের দলের সদস্য মেরে নাকি মামলা করবে বিপরীত দলের নামে। তবে, এই রাতে ঘটনা কি ঘটছে তা এখনও বলতে পারছিনা। নিহত ওই ব্যক্তি কোন দলের সেটা এখনও জানা যায়নি।
রায়পুরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আতাউর রহমান জানান, গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১জন মারা গেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতলের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন