এসজিডি বাস্তবায়নে কার্যকরী উদ্দ্যোগ নেওয়ার আহবান- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

জাতিসংঘের গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার যথাযথভাবে পূরণ করা নিশ্চিত করতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১৬ মে) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনার দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেন।

তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পূরণ এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন”।

শেখ হাসিনা অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং এর অপচয় রোধ করার পাশাপাশি এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য নীতি সহায়তা এবং তহবিল প্রদানের ধারাবাহিকতার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, “আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে নীতিগত সহায়তা এবং অর্থ প্রদান অব্যাহত রাখব। তবে আমাদের অবশ্যই অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ২০৩০ সালের আগে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করতে পারব”।

শেখ হাসিনা বলেন, “ইনশাআল্লাহ, আমরা দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব”।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “উন্নয়নের এই গতিকে অব্যাহত রাখতে আমাদের সরকার ‘এজেন্ডা ২০৩০’ বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসডিজি একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হলেও বাংলাদেশের উন্নয়ন আলোচনায় এটি খুবই প্রাসঙ্গিক”।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রথম থেকেই এসডিজি প্রণয়নে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ বক্তব্য দেন।

এ সময় এসডিজি বিষয়ক একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। (ইউএনবি)