দুঃস্বপ্নের পর মুশফিক-লিটনের বিশ্ব রেকর্ডে স্বপ্নময় দিন

টেস্টের সকালটা ছিল বিপর্যকর। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামা দল দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারাল। দলের সংগ্রহ ২৫ পেরোতে না পেরোতে নেই গোটা টপঅর্ডার।

মাহমুদুল হাসান, তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন, মুমিনুল হক আর সাকিব আল হাসানদের ব্যর্থতার দিনে সব দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিলেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। স্বপ্নময় সকালের পর লঙ্কানদের দিনটা তারা পরিণত করলেন দুঃস্বপ্নে।

সকালে কাসুন রাজিতা আর আসিতা ফার্নান্দোর সুইং, গতির সামনে অসহায় বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের উল্টোচিত্রটাই দেখা গেল মুশফিক আর লিটনের ব্যাটে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ দুজন টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে রেকর্ড ২৫৩ রানের জুটি গড়ে দিন শেষে অবিচ্ছিন্ন।

দলের সংগ্রহটাও ২৪ রানে ৫ উইকেট থেকে, ওই ৫ উইকেটেই ২৭৭। টেস্টে এত কম রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিক–লিটনের এ জুটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি, যেকোনো উইকেটে।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরের পথ ধরেন মাহমুদুল হাসান জয়। মাত্র পাঁচ টেস্টের ক্যারিয়ারে জয়ের এটি চতুর্থ ডাক। তার দেখানো পথে হাঁটতে সময় নেননি তামিম ইকবাল (০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৮), মুমিনুল হক (৯) ও সাকিব আল হাসানরা (০)। মাত্র ৬.৫ ওভারেই সাজঘরে ফিরে যান এ পাঁচ ব্যাটার।

এরপর দিনের বাকি অংশ পুরোপুরি নিজেদের করে নেন মুশফিক ও লিটন। এরই মধ্যে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েছেন এ দুজন। এর আগে ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই কলম্বোতে ষষ্ঠ উইকেটে ১৯১ রান যোগ করেছিলেন মুশফিক ও মোহাম্মদ আশরাফুল। এবার লিটনকে নিয়ে সেই রেকর্ড ভাঙলেন মুশফিক।

শুধু তাই নয়, ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট পতনের পর সর্বোচ্চ জুটির বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তারা। এতোদিন ধরে ২৫ রানের কমে ৫ উইকেট পতনের পর সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের ওয়ালিস ম্যাথিয়াস ও সুজাউদ্দিনের দখলে। দলীয় ২২ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর তারা দুজন মিলে ১৯৫৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে গড়েছিলেন ৮৬ রানের জুটি। সেটি ভেঙে ২৫৩ রান করে ফেলেছেন মুশফিক ও লিটন।