রাশিয়ার সাথে আবারো ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক পুর্নব্যক্ত করল চীন
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে বুধবার টেলিফোনে আলাপকালে রাশিয়ার সাথে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি পুনর্নিশ্চিত করেছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে শি বলেন যে, ইউক্রেন সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাকে চীন সমর্থন করে। শিনহুয়া সংবাদ সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সিসিটিভি, উভয়ই এমন তথ্য জানিয়েছে।
ক্রেমলিনের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, “রাশিয়ার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বহির্শক্তির তৈরি করা চ্যালেঞ্জের মুখে নিজেদের জাতীয় স্বার্থ” রক্ষা করতে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের “বৈধতার বিষয়টি উল্লেখ” করেছেন চীনের নেতা।
ফেব্রুয়ারিতে শীতকালীন অলিম্পিকের পার্শ্ববৈঠকে শি এবং পুতিন একটি বিস্তৃত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেন। ঐ চুক্তির আওতায় দুই পক্ষ অঙ্গীকার করে যে, তাদের সহযোগিতার ক্ষেত্রে “কোন সীমা” থাকবে না।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ আরম্ভ করার কয়েক সপ্তাহ আগেই চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়। ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন। এমনকি চীন সেটিকে আক্রমণ হিসেবেও আখ্যায়িত করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র, বুধবার ভিওএ-র পূর্ব এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের এক প্রশ্নের জবাবে চীনের এমন অবস্থানের সমালোচনা করেন। ঐ মুখপাত্র বলেন যে, চীন যদিও নিজেদের নিরপেক্ষ হিসেবে দাবি করে, “তাদের আচরণে এটা স্পষ্ট যে তারা এখনও রাশিয়ার সাথে আরও নিবিড় সম্পর্ক তৈরিতে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে।” ঐ মুখপাত্র আরও বলেন যে, চীন বিশ্বব্যাপী রাশিয়ার প্রচারণার পুনরাবৃত্তি করা অব্যাহত রেখেছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে রাশিয়াকে রক্ষা করছে, এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার অত্যাচারের প্রমাণ অস্বীকার করে চলেছে “এই ইঙ্গিত করে যে সেগুলো সাজানো”।
ঐ মুখপাত্র বলেন, “বিশ্ব দেখছে যে কোন কোন দেশ স্বাধীনতার মৌলিক নীতি, আত্মসংকল্প ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে, এবং কারা রাশিয়ার পূর্বপরিকল্পিত ও অপ্ররোচিত ইচ্ছাকৃত যুদ্ধের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে বা তাতে রাশিয়াকে পরোক্ষভাবে সমর্থন করছে।”
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন