পাবনা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের ৪ মামলা
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিআরটি এর সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের নামে ৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত রোববার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বাদী হয়ে এই ৪টি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০১, ০৮, ১৭ ও ১৮)। দুদকের সহকারী পরিচালক ও বাদী এই মামলা তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।
১নং মামলার আসামী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার তেঘরী কাটারবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. আকবর আলী (ছদ্ম নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম)।
দুদক সুত্র জানায়, মো. আকবর আলী ১৯৮৩ সালে মো. জাহাঙ্গীর আলম নাম ধারণ করে তৎকালীন বিডিআর এর সিপাহী পদে চাকরি নেয়। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের কোনাগাতি গ্রামে। ১৯৮৩ সালে দু‘জন বিডিআর এর সিপাহী পদে চাকরির জন্য লাইনে দাঁড়ান। জাহাঙ্গীর আলম টিকলেও আকবর আলী অকৃতকার্য হন। পরে জাহাঙ্গীর আলম চাকরিতে যোগ না দিলে আকবর আলী তার নাম ব্যবহার করে চাকরি নেন।
৮ নং মামলার আসামীরা হলেন, পাবনা শহরের শালগাড়ীয়া এলকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও একই অফিসের অফিস সহায়ক বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া গ্রামের মৃত নঈমুদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম। তারা দু‘জন বেড়া উপজেলার পৌর ভুৃমি অফিসে কর্মকালীন সময়ে যোগসাজশ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভুমি উন্নয়ন করের যথাক্রমে ৫৯ হাজার টাকা ও ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
১৭নং মামলার আসামী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লপাড়া উপজেলার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের সহকারী শিক্ষক মোছা. ফিরোজা খাতুন। তিনি ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ সরকারের ১৪ লক্ষ ৯৬৫০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।
১৮ নং মামলার আসামী হলেন, পটুয়াখালী বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জলিল মিয়া। সে পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামের মৃত আছাব আলী সরকারের ছেলে। দুদক জানায়, ১১ জুলাই ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বাইরের ২৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকা তিনি অসদ উপায়ে তিনি অর্জন করেন।
মামলার বাদী পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বলেন, মামলাগুলো দুদক নিজেই তদন্ত করবে। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এ সব মামলার প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা মেলায় দুদক মামলা করেছে।
৮ মামলার অভিযুক্ত পাবনা শহরের শালগড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়ারা ইউনিয়নের সহকারী ভুমি উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, মামলার বিষয় সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। এর আগে দুদক ডেকেছিল আমরা আমাদের বক্তব্য তাদের বলেছি। আমাদের কোন দোষ নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন