খাগড়াছড়ির খোলা বাজারে ৩০টাকায় চাল বিক্রি শুরু

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৯টি উপজেলাতে খাদ্য শস্যের বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতির রোধে জেলাব্যাপী ওএমএস বা খোলা বাজারে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা সদরের শালবন এলাকায় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

খাগড়াছড়ি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা সুমাইয়া নাজনীন জানান,‘ চালের বাজার দর স্থিতিশীল রাখতেই ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জেলা সদরের ৯টি পয়েন্টে ডিলারের মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। ডিলার প্রতি বরাদ্দ ২মেট্রিক টন।

একজন ভোক্তা ৩০টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৫কেজি চাল কিনতে পারবে। টিসিবি কার্ডধারী মাসে দুই বারে সর্বোচ্চ ১০কেজি চাল কিনতে পারবে। আগামী তিন মাস এ কার্যক্রম চলবে। ’ শালবন ছাড়াও জেলা সদরের কলেজ গেইট, মুসলিম পাড়া, পুরাতন জীপ স্টেশন, ভাঙ্গাব্রীজ, মধুপুর বাজার, সবজি বাজার ও পানখাইয়া সড়কে ডিলারের মাধ্যমে ওএমএসে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার নাঈম নিপু, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, শালবন পৌর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম প্রমুখ।

দীঘিনালা উপজেলা:
সারাদেশের ন্যায় বৃহস্পতিবার থেকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় শুরু হয়েছে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি(ওএমএস) কর্মসূচি। বৃহস্পতিবার(১লা সেপ্টেম্বর) সকালে দীঘিনালা থানা বাজার এবং বাস টার্মিনাল কেন্দ্রে চাল বিক্রি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আরাফাতুল আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজু উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সীমা দেওয়ান এবং উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর প্রমুখ।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আরাফাতুল আলম জানান, জনপ্রতি ৫কেজি হারে ৩০টাকা দরে বিক্রি করা হবে এ চাল। প্রতি কেন্দ্রে ৪শ জন করে এ চাল নিতে পারবেন। সপ্তাহে শুক্রবার এবং শনিবার ছাড়া বাকি সব দিনে চাল বিক্রি কার্যক্রম চালু থাকবে।

রামগড় উপজেলা:
জেলার রামগড়ে ৩০টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ওএমএস’র আওতায় প্রতিদিন নিম্ন আয়ের ১হাজার ২শ পরিবারের মাঝে ৩০টাকা কেজি দরে ৫কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার(১লা সেপ্টেম্বর) রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। রামগড় পৌরসভার মাস্টারপাড়া, বাজার এলাকা ও সোনাইপুল বাজারে তিন ডিলারের ৩টি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে চাল বিক্রি হচ্ছে। এ কর্মসূচির উদ্বোধন কালে উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারি বলেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি ও বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে স্বল্প মূল্যে ওএমএস’র মাধ্যমে চাউল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত বলেন, ‘পৌরসভার তিনজন ডিলারের মাধ্যমে দৈনিক ১হাজার ২শ পরিবার মাথাপিছু ৫কেজি হারে চাল ক্রয় করতে পারবেন। এছাড়া উপজেলার ১০হাজার টিসিবি কার্ডধারীরাও এ সুবিধা পাবেন।

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা হিমু চাকমা বলেন, ‘উপজেলার তিন জন ডিলারকে প্রতিদিন(আতপ ও সিদ্ধ) ৬টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তিন মাস পর্যন্ত এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এ সময় রামগড় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সহিদ আলমসহ জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মানিকছড়ি উপজেলা:
দেশব্যাপী নিম্ন আয়ের মানুষকে মূল্য সহায়তা এবং বাজার দর স্থিতি রাখার লক্ষ্যে ন্যায্যমূল্যে ওএমএস বা খোলা বাজারে চাউল বিক্রি শুরু করেছে সরকার। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় এই(ওএমএস) খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার(১লা সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে ওএমএস বা খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) রক্তিম চৌধুরী। এতে টিসিবি’র সুবিধাভোগীরা মাসে দু’বার এবং সাধারণ বা নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী প্রতিদিন ৫কেজি ৩০টাকা হারে খাদ্যশস্য ক্রয় করতে(সপ্তাহে ৫দিন) পারবেন। প্রতি উপজেলায় দু’জন ডিলার প্রতিদিন ২মে .টন হারে ৪মে.টন চাউল ৮শ জন সুবিধাভোগীর মাঝে বিক্রি করতে পারবেন।

এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য মো: মাঈন উদ্দীন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জুলিয়াস চাকমা, ওসিএলএসডি সুপ্রিয় চাকমা, তদারকি কর্মকর্তা মো: কামরুল আলম, ডিলার মো: মাসুদ হোসেন বাপ্পি ও উহ্লাপ্রæু মারমা উপস্থিত ছিলেন।

পানছড়ি উপজেলা:
পানছড়ি উপজেলায় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে চাল বিক্রয় কেন্দ্র(ওএমএস দোকানে) চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। এর বাস্তবায়ন করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রগুলোতে প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা করে। জন প্রতি সর্বোচ্চ ৫কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে। বৃহস্পতিবার(১লা সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় পানছড়ি বাজার কেন্দ্রে চাল বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মনি শংকর চাকমা, পরিদর্শক ভুপতি বিকাশ চাকমা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রিয় কান্তি চাকমা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার দেব, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জয়নাথ দেব ও উল্টাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আহির উদ্দিন।