ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি! ককটেল বিস্ফোরণ
ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরশহরে দুটি জুয়েলারি দোকান ও একটি ফলের দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দুইটার দিকে নান্দাইল মধ্যবাজার বিসমিল্লাহ ও মুক্তা জুয়েলার্সে এই ঘটনা ঘটেছে । ডাকাতির পর টহল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে নান্দাইল পৌর শহরের বাজারটিতে প্রবেশ পথ বন্ধ করে ২০/২২ জনের একটি দল।
এসময় বাজারের ভিতরে থাকা ৭-৮ জন পাহারাদারকে মারধর করে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর রফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ জুয়েলারী ও আব্দুল মতিনের মালিকাধীন মুক্তা জুয়েলারীর দোকানের তালা ভেঙ্গে ডাকাতির শুরু করে। ডাকাতি করে চলে যাওয়ার সময় থানার টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে ডাকাতদল ৪টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নান্দাইল পৌর সদরের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিসমিল্লাহ জুয়েলারির মালিক রফিকুল ইসলাম ও মুক্তা জুয়েলারির মালিক আব্দুল মতিন বলেন, দুই দোকান থেকে ১৭ ভরি স্বর্ণ, ৮০-৮৫ ভরি রোপা ও নগদ প্রায় ১০ লাখ টাকা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমাদের ব্যবসায়ী সমিতির সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নিব। নান্দাইল থানার উপ-পরিদর্শক পূর্ণ চিছাম বলেন, গত রাতে আমি কনস্টেবল নিয়ে টহল দিচ্ছিলাম। মধ্যরাতে বাজারে ঢুকতেই দেখি ১০-১২ জন মানুষ দৌঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। তখন সেখানে উপস্থিত হলে আমাদের লক্ষ্য করে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যান।
এই বিষয়ে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, শুক্রবার রাত ২টার পর একদল ডাকাত জুয়েলারি দোকানে ডাকাতি করতে এসে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়। বাজারটি সিসিটিভির আওতায় আছে। আশা করছি দ্রুত ডাকাতদের সনাক্ত করতে পারব। এজন্য পুলিশ ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন