যশোরের মণিরামপুরে গৃহকর্তাকে বেধে অস্ত্রের মুখে ছিনতাই, নারী ছিনতাইকারী আটক

যশোরের মণিরামপুরে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গৃহকর্তাকে বেধে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে মণিরামপুর ফায়ার স্টেশনের উত্তরপাশে তিন তলা একটি বাড়ির দোতলায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন ছিনতাইকারী বাড়ির মালিক জাফর আলীকে বেধে পিস্তল ও চাকু দেখিয়ে স্বর্ণের একটি হার ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে সোমবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মণিরামপুর হাসপাতাল গেটে বৃদ্ধার গলা থেকে স্বর্ণের হার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক নারী ছিনতাইকারীকে ধরে গাছের সাথে বেধে রাখেন স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়।

আটক নারীর নাম কুতুব চাঁন। তিনি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার জুনায়েদের স্ত্রী বলে জানা গেছে।
তবে কুতুব চাঁনের দাবি- তিনি ছিনতাইকারী নন। সাহায্য তুলতে তিনি এ এলাকায় এসেছেন।

জাফর আলী বলেন- রোববার রাতে বাড়ির দোতলার বাসায় স্ত্রী ও মেয়েসহ আমি ছিলাম। ভবনের প্রধান ফটক ও বাসার দরজা খোলা ছিল। হঠাৎ তিন যুবক ঘরে ঢোকে। তাদের মধ্যে একজন চাকু ও পিস্তল বের করে আমাদের জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে তাঁরা আমার দু হাত বেধে ফেলে।

জাফর আলী বলেন- ঘরে টাকা পয়সা তেমন ছিল না। ওরা ১০ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের হার নিয়ে একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে গেছে। ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার পরপরই থানা থেকে কয়েকজন পুলিশ এসে সবকিছু জেনেশুনে গেছে।

এদিকে মণিরামপুর হাসপাতাল গেটে নারী ছিনতাইকারীদের কবলে পড়া বাঘারপাড়া উপজেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামের বৃদ্ধা হামিদা বেগম বলেন- আমার মেয়ের শাশুড়ি মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি। সকালে তাঁকে দেখে হাসপাতাল গেটে প্রধান সড়কে আসলে পিছন থেকে এক নারী আমাকে জড়িয়ে ধরে। এরপর গলা থেকে টান দিয়ে স্বণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে চেইন ছিনিয়ে নেওয়া নারীকে ধরে ফেলেন।

হামিদা বেগম বলেন- ছিনতাইকারীরা দলে ৪ নারী ছিলো। লোকজন আসার আগেই চেইন নিয়ে দ্রুত তিন নারী পালিয়ে গেছে।

হাসপাতাল গেটের ওষুধের দোকানের কর্মচারী ইমরান হোসেন বলেন- চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে এক নারীকে ধরে গাছের সাথে বেধে রাখে। পরে পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে গেছে।

ছিনতাইয়ের দু ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে মণিরামপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন- ঘটনা দুটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।