নরসিংদীতে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ফলোআপ নিউজঃ⤵️⤵️⤵️
↪️ নরসিংদীর মেঘনা নদীতে মায়ের সঙ্গে গোসলে নেমে নিখোঁজের ৩১ ঘন্টা পর তাওহীদ মিয়া নামে ৯ বছরের শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৫টায় উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের বাখরনগর বাজারসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফরিদুল আলম।
এর আগে বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাখরনগর বাজারসংলগ্ন মেঘনা নদীর ঘাটে মায়ের সঙ্গে গোসলে গিয়ে তাওহীদ মিয়া নিখোঁজ হয়। নিহত তাওহীদ নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় কাজির কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নৌ পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিন মেঘনা নদীর ওই ঘাটে ছেলে তাওহীদকে নিয়ে গোসল করতে আসেন রেখা বেগম। বুধবার সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মত রেখা ও তাওহীদ ঘাটের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে গোসল করছিলেন। গোসল শেষে পাড়ে উঠার সময় সাথে তাওহীদকে দেখতে পাচ্ছিলেন না। পরে রেখার চিৎকার শোনে আশপাশের লোকজন এসে নদীতে ডুব ও জাল ফেলে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। পরে করিমপুর নৌ পুলিশকে খবর দেয়া হলে তারা এসে উদ্ধার অভিযান শুর করে। তারা বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোঁজাখোঁজি করে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় অভিযান বন্ধ ঘোষণা করেন।
পরে বৃহস্পতিবার সকালে আবার দ্বিতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান শুর হয়। স্থানীয়রা নৌ পুলিশের সাথে মিলে নৌকা করে জাল নিয়ে তাওহীদকে খোঁজা শুরু করে। একাধিক নৌকা দিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজেও তাওহীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে সন্ধ্যা ৫টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে তাওহীদের মরদেহ ভেসে উঠে। পরে তা উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসা হয়।
শিশুটির মা রেখা বেগম বলেন, আমার ছেলে সাঁতার জানে। মেঘনা নদীতে বন্ধুদের সঙ্গে সে অনেক সাঁতার কেটেছে। কিন্তু সে আমার সাথে নদীর ঘাটে গোসল করতে নেমে তলিয়ে গেল, আর আজকে লাশ হয়ে ভেসে উঠলো। আমি এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
করিমপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ ফরিদুল আলম জানান, আজ সন্ধা ৫ টার দিকে নিখোঁজ শিশুর
মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিবার বিনা ময়নাতদন্তের আবেদন করলে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন