পঞ্চগড়ে মামলা ঠেকাতে বিবাদীর অভিযোগ, বাদীকে আপোষ মিমাংসার চাপ থানা পুলিশের
পঞ্চগড়ে মামলা ঠেকাতে বিবাদী সন্দেহ মূলক গাছভাঙা অভিযোগ করেছে বাদীসহ পরিবারের উপর। অভিযোগের তদন্তে আসা পুলিশ আপোষের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন বাদীকে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের বকশিগজ গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে পূর্বের ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নিজ জমিতে গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে বকশিগজ গ্রামের আব্দুল গণির স্ত্রী সামিনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে গত ২০২১ সালের আগস্ট মাসের ২৭ তারিখ শুক্রবার বিভিন্ন আঘাতের মাধ্যমে আহত করেন একই গ্রামের রহিম উদ্দিন ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম(৪০), মোঃ খয়রুল ইসলাম (৪৫), মোঃ আজিজার রহমান (৪৮) এবং মোঃ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ সেফালী আক্তার(৩৫)। পরে আব্দুল গণির স্ত্রী সামিনা আক্তার বাদীনি হয়ে ৭ জনকে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। যা ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালের থানার মামলা নং- ০৯, জি.আর মামলা নং- ৩৫২।
মামলাটি বিচারাধীন থাকাবস্থায় তফসিল বর্ণিত মাঝবাড়ি মৌজার জে.এল নং ১৬ এর ২৪০ নং এস.এ খতিয়ানের ২৩২৪ ও ২৩২৫ নং দাগে পূণরায় ঘটনার উদ্ভব হলে সামিনা আক্তার চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ পঞ্চগড় সদর থানায় একটি অভিযোগ করলে সেটি জিডিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার জিডি নং- ২১৬ এবং এনজিআর মামলা নং ১৯৪।
অপরদিকে মামলার আসামীগণ বলেন, বাদী তাদের উপর অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছেন। তাঁরা এ ধরণের কোনো ঘটনা ঘটাননি। মামলায় তফসিলী জমি তাদের বলে আসামীগণ দাবি করেন।
গাছ ভাঙার বিষয়ে অভিযোগকারী মোঃ শফিকুল ইসলাম, খয়রুল ইসলাম ও শফিকুলের স্ত্রী সেফালী আক্তারকে জিজ্ঞাসা করলে জানা যায়, তাদের সঙ্গে গ্রামের অন্য কারো মামলা মোকদ্দমা নেই। তাঁরা (চলমান মামলার বাদীপক্ষ) ছাড়া কে এই কাজ করতে পারে? সন্দেহ মূলক এই অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে আব্দুল গণি ও তার স্ত্রী সামিনা আক্তার বলেন, আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ খয়রুল ইসলাম, মোঃ আজিজার রহমান এবং মোঃ শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ সেফালী আক্তার কোনো উপায় অন্ত খুঁজে না পাওয়ায় তাদেরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য এসব গাছ ভাঙার অভিযোগ করেছেন। আব্দুল গণি আরোও বলেন, পঞ্চগড় সদর থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) ইনতাজুল হক ওই থানার উপ-পরিদর্শক(এস.আই) ফিরোজ কবীরের বরাদ দিয়ে মামলা গুলো আপোষ মিমাংসা করার জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন। তিনি আরোও বলেন, মামলা গুলো আপোষ-মিমাংসা না করলে মামলা দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে যাবেন।
পঞ্চগড় সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) ইনতাজুল হক বলেন, তিনি তেমন কিছু বলেননি। সফিকুলদের দেয়া অভিযোগটি এসআই ফিরোজের কাছে রয়েছে, তাকে তদন্ত করার জন্য বলা হলে তিনি সরেজমিনে গিয়ে বাদীনি সামিনা আক্তারের স্বামী আব্দুল গণিকে মামলা গুলো মিমাংসার জন্য বলেন। তিনি ছুটিতে বাসায় যাওয়ার পর থানায় বসা হয়নি, এখন তিনি ছুটি শেষ করে থানায় এসেছেন একটি নিদির্ষ্ট দিনে উভয়পক্ষকে ডেকে থানায় বসার ব্যবস্থা করবেন জানিয়েছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন