চাঁদপুর জেলা কারাগারের ও বাবুরহাট বিসিকের বর্জ্য যাচ্ছে ডাকাতিয়া নদীতে
চাঁদপুর জেলা কারাগারের ও বাবুরহাট বিসিকে প্রতিদিন শতাধিক কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য জমা হয়।আর সেই বর্জ্য ড্রেনের ও খালের মাধ্যমে যাচ্ছে ডাকাতিয়া নদীতে ।এতে করে দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। মারা যাচ্ছে নদীর মাছ। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
১৭ নভেম্বর চাঁদপুর জেলা কারাগারের সম্মুখে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর কারাগারের ভিতর থেকে একটি পুল এর মাধ্যমে এ বর্জ্য এসে পড়ে শাহতলী ও হামানকর্দ্দি পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতীয়া নদীর সংযোগস্থল খালে।
আর এ খাল দিয়ে বর্জ্য যায় নদীতে। আর কারা কর্তৃপক্ষ পরিবেশের দিকে নজর না দিয়ে অনায়াসে প্রতিদিন খালের মাধ্যমে ডাকাতীয়া নদীতে বর্জ্য ফেলছে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে ও মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। প্রতিদিন নদীর পানি দূষনের ফলে মারা যাচ্ছে নানা প্রজাতির মাছ।
একইভাবে বাবুরহাট বিসিকের রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ খালের মাধ্যমে ডাকাতীয়া নদীতে ফেলছে। বাবুরহাট বিসিক কর্তৃপক্ষ কোন কিছু বা পরিবেশর তোয়াক্কা না করে খালের মাধ্যমে বর্জ্য নদীতে ফেলছে।
প্রতিনিয়িত এসব ময়লা-বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে শাহতলী ও হামানকর্দ্দি গ্রামে পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া ডাকাতীয়া নদীর পানি। অথচ দূষণ ঠেকানোর কোনো উদ্যোগ নেই কারও। কেউ কোনো কিছু বলছেও না।
কারাগার ও বাবুরহাট বিসিক কর্তৃপক্ষ যেন নদীতে ময়লা আবর্জনা ফেলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে।
কারাগারের এসব ময়লা-আবর্জনায় রয়েছে পলিথিনজাতীয় অপচনশীল দ্রব্য, যা শত বছরেও নষ্ট হবে না। কারাগারের কয়েদীদের বর্জ্য, কারাগারের আরো অনেক বর্জ্য।
অনুরুপভাবে বাবুরহাট বিসিকের বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে রাসায়নিক ও কেমিক্যাল জাতীয় পর্দাথ, শ্রমিকদের বর্জ্যসহ আরো বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ।
এতে, একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, অপরদিকে ডাকাতীয়া নদীর নাব্যতা হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সেই সঙ্গে মাছ ও জলজ জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মারা যাচ্ছে বহু প্রজাতির মাছ ও মৎস শ্রেনিভুক্তজলজ প্রাণী।
এ বিষয়ে শাহতলী রাস্তার মাথা কারাগার এলাকা, শাহতলী ও হামানকর্দ্দি এলাকার কয়েকজন দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকাকে জানান, আমরা আগে এ খালের পানি রান্না, গোসল করাসহ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পেরছি। কিন্তু বর্তমানে এ খাল দিয়ে চাঁদপুর জেলা কারাগার ও বাবুরহাট বিসিকের বর্জ্য পদার্থ শাহতলী ও হামানকর্দ্দি এলাকায় পাশবর্তী ডাকাতীয়া নদীতে ফেলা হচ্ছে।
এতে নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে। মারা যাচ্ছে মাছ সহ বিভিন্ন মৎস্য শ্রেনিভুক্ত বিভিন্ন জলজ প্রানী। জনগন নদীর পানি ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আমরা এ ডাকাতীয়া নদীর পানি দূষন থেকে রক্ষা করতে চাঁদপুর পরিবেশ বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি। তাই বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন