সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একই ব্যাক্তি ২ স্কুলের শিক্ষক
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তথ্য গোপন করে একই ব্যক্তি দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে আসছেন। মোঃ আনোয়ার হোসেন উপজেলার এমপিওভূক্ত কায়েমপুর মাষ্টার আজগর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করলেও তথ্য গোপন করে শাহজাদপুর পৌর সদরের বিসিক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাথ ফাইন্ডার ল্যাব স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যা শিক্ষানীতির পরিপন্থী বলে জানিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।সরেজমিনে গিয়ে পাথ ফাইন্ডার ল্যাব স্কুলের ২জন শিক্ষক আবুল হেকাম ও রাসেল ইসলাম এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানা যায়, মোঃ আনোয়ার হোসেন এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি নিয়মিত স্কুলে আসেন এবং শ্রেণি কক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করেন। সেইসাথে নিয়মিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এরপর পাঠদান শেষে সকাল ১০টা থেকে ১১ টার মধ্যে বিদ্যালয় ত্যাগ করে উপজেলার কায়েমপুর মাষ্টার আজগর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মোঃ আনোয়ার হোসেনের একসাথে এমন দ্বৈত চাকুরির ঘটনায় সমালোচনা করছেন খোদ তার সহকর্মীরাই।
এ বিষয়ে শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, “ আমি কায়েমপুর মাষ্টার আজগর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করি এবং পাথ ফাইন্ডার স্কুলে পরিচালক হিসেবে আছি।” এদিকে শাহজাদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে ডিআর বইতে দেখা যায় মোঃ আনোয়ার হোসেনের নাম পাথ ফাইন্ডার স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে তালিকা ভূক্ত রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলা মাধ্যমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শফিউল ইসলাম জানান, একজন শিক্ষক একই সাথে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর বিষয় আমার জানা নাই। যদি করে থাকেতা অবশ্যই আইন বহির্ভূত। এমপিওভূক্ত একটি স্কুলের শিক্ষক এ ধরণের কাজ করলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে পাথ ফাইন্ডার ল্যাব স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ ইদ্রিস আলীর কন্যা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাবিলা ইদ্রিসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে আপনাদের জানাবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন