মাদারীপুরে বিয়ের বাজার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার সাবেক ইউপি সদস্য
মাদারীপুরে বিয়ের বাজার করতে এসে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে সাবেক এক ইউপি সদস্য ও তার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজারে এ ঘটনায় তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলে কুনিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লা (৬৫) ও তার ছেলে হেলাল মোল্লা (৩৫)।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, সোমবার সকালে সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লা তার ছেলে দুলাল মোল্লার বিয়ের বাজার করতে মস্তফাপুর যায় আরেক ছেলে হেলাল মোল্লা ও মেয়ে জামাই জামাল মোল্লাকে সাথে নিয়ে। এসময় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার কারণে পেয়ারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের সমর্থকরা তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এসময় তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পরে সাথে থাকা বিয়ের বাজারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
জলিল মোল্লার মেয়ের জামাই জামাল মোল্লা বলেন, আমরা বাজার করতে গেলে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের লোকজন খোকন হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার, ইদ্রিস চৌকিদারের ছেলে সাদ্দাম চৌকিদার, সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাওলাদার, সিরাজ চৌকিদারের ছেলে সাদ্দাম চৌকিদারসহ আরো বেশ কয়েকজন রাম দা, ছেন আর চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমার শশুর ও ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
জলিল মোল্লার ভাগ্নে আলিম বেপারী বলেন, আমার মামাকে আর মামাতো ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের উপর যারা এভাবে হামলা চালিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
তবে অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে পেয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদার বলেন, আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার জানামতে আমার কোন সমর্থক তাদের ওপর হামলা চালায়নি।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাওলীন আফরোজ বলেন, দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়েছিলো। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, শুনেছি পেয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লার উপর হামলায় চালিয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন