নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের অপ-এড স্কুলে হালাল ফুড এই শিক্ষাবর্ষেই
মেয়র এরিক এডামস, নিউইয়র্ক সিটি ন্যায্যভাবেই তার থ্রি-কে ও প্রি-কে প্রোগ্রাম নিয়ে গর্ব করতে পারে। এই কর্মসূচী নিউইয়র্ক সিটির হাজার হাজার শিশুকে শিক্ষা জীবনের সূচনাপর্বে আলো দিচ্ছে। তবে কোনো প্রোগ্রামকেই সার্বজনীন বলা যাবে না যদি তা শিক্ষার্থীদের সব প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ না করে।
বিশেষ করে যেসব শিশুর রয়েছে স্পেশাল নিডস। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্য শিক্ষার্থীরা যা পায়, এইসব স্পেশাল নিডস শিশুদের একই সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যখন তারা এই সুযোগ সুবিধা পাবে তখন তাদের বিকাশ সহজতর হবে।
আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, স্কুলে রিডিংএ আমার সমস্যা হতো। হাইস্কুলে আমি আবিষ্কার করি আমি ডিসলেক্সিয়াতে ভুগছি। আমার শব্দ শনাক্ত করতে অসুবিধা হতো বলে রিডিংএ পিছিয়ে পড়তাম। আমি যখন প্রয়োজনীয় সাহায্য পেলাম, তখন আমার সামনে অনেক সুযোগের দরোজা উন্মুক্ত হয়ে গেল। ডিসলেক্সিয়ার প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠার পর আমার বিকাশ আজ আমাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। তাই আমি নিশ্চিত করতে চাই তাদের সামর্থ থাকুক আর না থাকুক আমরা প্রত্যেকটি শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যত নির্মাণ করব। সে কারণে আমার প্রশাসন যেসব শিশু নানারকম প্রতিবন্ধী, তাদের একেবারে শুরু থেকেই সাহায্য করার উদ্দেশে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছে।
সে কারণে আমরা থ্রি-কে ও প্রি-কে ক্লাসের স্পেশাল নিডস শিশুদের জন্য অতিরিক্ত সিট নিশ্চিত করেছি। এইসব শিশু আরো বেশি সময় পাবে স্কুলে থেকে শিক্ষার্জনের। যারা শিক্ষা প্রদান করে তাদের আমরা বলেছি ৫ ঘন্টার পর ৬ বা তার চেয়েও বেশি সময় যেন এইসব স্পেশাল নিডস শিশুদের শিক্ষা প্রদান করে। এটা কখনো হতেই পারে না যে যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য আমরা কম সময় নির্ধারণ করবো শিক্ষার জন্য।
আমরা সেই সাথে স্পেশাল এডুকেশন শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি করছি যাতে তারা সুষ্ঠুভাবে শিক্ষা প্রদান করতে পারেন। আমি আমার প্রশাসনকে বলেছি, এইসব শিক্ষকদের যেন যথাযোগ্য বেতন প্রদান করা হয়। এবং প্রয়োজনীয় বেনিফিটও দেয়া হয়।
আমরা আমাদের স্কুল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত ও তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতির আওতায় উপযোগী খাবার দিতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। আমরা চাই সব ধর্মের কম্যুনিটি থেকে আসা শিক্ষার্থীরা যেন স্কুলের খাবার খায়। যারা হালাল খাবার চাইবে তাদের যেন হালাল খাবারই প্রদান করা হয়।
দুই বছরের প্যানডেমিকের পরে আমরা অনুধাবন করতে পারি লাঞ্চরুমে শিক্ষার্থীদের পরস্পরের সাথে মেলামেশা কতটা জরুরী। আমরা স্কুল ক্যাফেটেরিয়ায় বিভিন্ন কম্যুনিটির নিজস্ব ধর্ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় খাবার প্রদানের লক্ষ্যে ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছি। চলতি শিক্ষাবর্ষেই এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করবো। এছাড়াও বিশেষ স্যালাড বার স্থাপন করা হবে প্রতিটি স্কুলের লাঞ্চরুমে। ফলে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ পছন্দের খাবার নিজেই নিতে পারবে। এছাড়াও গ্র্যাব এন্ড গো পদ্ধতি থাকবে। ফলে শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়িয়ে বেশি সময় ব্যয় না করে, ধীরেসুস্থে খাওয়ার সময় পাবে এবং বন্ধুরা গল্প করতে পারবে। তাদের খাওয়ার জন্য বুথ স্টাইলের সিটিংএর ব্যবস্থাও করা হবে।
আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীরা বছরে ১৮০ দিন ক্লাস করে। তারা যাতে স্কুলকে তাদের বিকাশের ক্ষেত্র মনে করতে পারে এই সময়কালে, তাও আমরা নিশ্চিত করবো। এর জন্য কার সামর্থ আছে বা নেই, কার কি ব্যাকগ্রাউন্ড তা কোনোভাবেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
(মেয়রের অফিস থেকে এই অপএডটি ছাপানোর অনুরোধ জানিয়ে সাপ্তাহিক বাঙালীতে পাঠানো হয়েছে।)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন