সুনামগঞ্জের হাওর রক্ষা বাঁধ উন্নয়ের কাজ এখনও অসম্পূর্ণ ! বন্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
হাওর বাঁচাও আন্দোলনকারীদের দাবী হাওর উন্নয়নের মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে শতভাগ কাজ শেষের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাউবোর কর্তপক্ষ। অপরদিকে বুধবার (১লা মার্চ) থেকে সাধারণ কৃষকদের নিয়ে আন্দোলনে নামছেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।
প্রতি বছরের মতো এবারও ২০২৩ সালে বোরো ফসল রর্ক্ষায় হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সুনামগঞ্জ জেলায় ২০৩ কোটি টাকার বিশাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলায় প্রায় আড়াই লাখ হেক্টও বোরো ফসল আগাম বন্য ও পাহাড়ি ঢল থেকে রক্ষার জন্য এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি এবং নির্ধারিত সময়ে অর্ধেক কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় হাওরপার জুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
এ বছর সুনামগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৮৯টি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এ পর্যন্ত বরাদ্দ হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
ইতোমধ্যে সমপরিমাণ অর্থ ছাড় দেয়া হয়েছে। হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজের শুরু যেমন যথা সময়ে হয়নি, তেমনী যথাসময়ে শেষ হওয়ারও নাম নেই। ফলে হাওরপাড় জুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
জানা গেছে, গত বছর সুনামগঞ্জে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলার ৬ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমির ১২১ কোটি টাকা ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এতে কৃষকরা নিঃস্ব হয়ে পড়েন। তারপরও এবার অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে কোমর বেঁধে সুনামগঞ্জের কৃষকরা বোরো ফলিয়েছেন মাঠে মাঠে। বর্তমানে সবুজ ধানের চারা লিক লিকিয়ে বেড়ে উঠছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো সুনামগঞ্জ জেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত জেলায় গড়ে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকী কাজ সপ্তাহের মধ্যেই শেষ হওয়ার কথা। পাউবো সুনামগঞ্জ জানায়, জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৮৩ শতাংশ, দিরাই ৭৬ শতাংশ, শাল্লায় ৮৩ শতাংশ, জগন্নাথপুরে ৮৫ শতাংশ, দোয়ারাবাজারে ৮৪ শতাংশ, ছাতকে ৮৪ শতাংশ, সদর উপজেলায় ৮৬ শতাংশ, বিশ^ম্ভরপুরে ৮৭ শতাংশ, ধর্মপাশায় ৭৯ শতাংশ, তাহিরপুরে ৭৩ শতাংশ, জামালগঞ্জে ৮৩ শতাংশ ও মধ্যনগরে ৭৫ শতাংশ বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শামসুদ্দোহা বলেন, ইতোমধ্যে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত জেলায় গড়ে মোট ৮০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। মার্চের ১ম সপ্তাহেই শতভাগ কাজ সম্পন্ন করতে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন