ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান, এমপি বলেছেন, নির্বাচন আসলে ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দেশ বিরোধী চক্র ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। দেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশ রক্ষায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার (১ মার্চ) ঢাকায় ইসলামিক ফাউণ্ডেশন মিলনায়তনে ঢাকা জেলা প্রশাসন এর আয়োজনে ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত “ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ” প্রকল্পের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা মূলক আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি সুরক্ষায় সকলকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে। সন্মানিত খতিব, ইমাম, ওলামা-মাশায়েখগণ জুমার বয়ান, খুতবা, ধর্মীয় আলোচনা ও ওয়াজ মাহফিলে ধর্মীয় সম্প্রীতি সুসংহত করার বিষয়ে আলোচনা রাখবেন; অন্যান্য ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ ধর্মীয় উপাসনালয়ে সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
প্রতিমন্ত্রী আরোও বলেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্বগণ ধর্মীয় সম্প্রীতির বিষয়ে গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশন করবেন। সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে আরো সজাগ ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণকে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এমন যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর নেতৃত্বে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের রক্তের বিনিময়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে প্রদত্ত সকল অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উন্নয়ন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত (ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক) আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বেনজীর আহমেদ, এমপি , ঢকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান,পিপিএম (বার), ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুন, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লাহ আল শাহীন প্রমুখ, প্রমুখ।
ঢাকা জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধিগণ সংলাপে অংশ গ্রহণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন