সিলেট বেতার কেন্দ্রের এডির কক্ষে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সাংবাদিক অপমানের শিকার
বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের কার্যালয়ে গীতিকার হওয়ার তালিকা ভুক্তির আবেদন দিতে গিয়ে অপমানের শিকার হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কবি নূর উদ্দিন রাসেল।
নূর উদ্দিন রাসেল গত ১২ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) বেলা ১টার সময় বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের মিরের ময়দান কার্যালয়ে যান। তার সাথে ছিলেন আরো দু’জন সঙ্গী। এ সময় সহকারী পরিচালক (এডি) প্রদীপ চন্দ্র দাশের কক্ষের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে কক্ষে প্রবেশের অনুমতি চান। তাকে অনুমতি না দিয়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এরপর রাসেল প্রদীপ চন্দ্র দাশের কাছে সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন। এর সুবাদে প্রদীপ বাবু তার কক্ষে যাওয়ার জন্য ইশারা দেন। এ সময় রাসেল তার কক্ষে প্রবেশ করেন। কক্ষে গিয়ে রাসেল দেখতে পান পূর্ব থেকে সেখানে সিলেটের প্রবীণ সংবাদিক তাপস দাশ পুরকায়স্থ সহ চয়ন নামক আরেক সাংবাদিক বসা আছেন। এডি প্রদীপ এই দু’ সাংবাদিককে দেখিয়ে রাসেলকে বলেন, ‘উনাদেরকে তুমি চিন কি-না?’ উত্তরে রাসেল জানান চিনেন। এসব কথাবার্তার পর এডি প্রদীপ দাপটের সাথে বলেন, তার এখানে ‘এ’ গ্রেডের সাংবাদিক ও ভিআইপিরা ঢুকতে পারেন। প্রদীপ অন্যদের বেলায় এমন পারমিশন দেন না।
সাংবাদিক ‘এ’ গ্রেড সম্পর্কে কথাবার্তা বলায় প্রদীপ উপস্থিত গ্রেড সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেননি। ঢাকার পিআইবি কিংবা তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবাদিক সম্পর্কে ‘এ’গ্রেড ধারণা দিতে বা বলতে শুনা না গেলেও এডি প্রদীপের মুখে তা শোভা পেল।
রাসেল এডি প্রদীপের কাছে হেয় প্রতিপন্ন সহ অপমান ও দুর্ব্যবহারের শিকার হওয়ায়, রাসেল আরেকটি পরিচয় দেন প্রদীপকে। রাসেল বলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তখন এডি প্রদীপ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটানোর কোন পথ তার কাছে নেই। এমতাবস্থায় এডি প্রদীপের কক্ষ থেকে সেই সিনিয়র দু’সাংবাদিক ৩/৫ মিনিট অবস্থান করে চলে যান। কিন্তু দু’সিনিয়র সাংবাদিক সংবাদকর্মী রাসেলের বেলায় কোন প্রতিবাদ করেননি।
এডি প্রদীপ রাসেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানই শিখছেন, আর কিছু শিখতে পারছেন না। সেজন্য এরই প্রভাব তার এখানে পড়ার কোন কারণ তিনি দেখছেন না। প্রদীপের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসার সময় প্রদীপ আরো বলেন যে, তাকে যেন অফিসে এসে আর বিরক্ত না করতে। ফলে এডি প্রদীপ তার অফিস থেকে বের হওয়ার জন্য রাসেলকে নির্দেশ করলে রাসেল নীরবে প্রদীপের অফিস ত্যাগ করে চলে আসেন।
এ ব্যাপারে কবি সাংবাদিক নুরুদ্দীন রাসেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, প্রদীপ দীর্ঘ দিন ধরে মানুষের সাথে খারাপ আচরণ করছে, তাঁর সাথে আমি দেখা করতে ব্যক্তিগত কাজে গেলে এক জবাবে এ-বি গ্রেড সাংবাদিক বলে আমাকে অপমান করে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে আমি খুব শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের বরাবরে লিখত অভিযোগ দাখিল করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন