সিলেটের মধ্যবিত্তরা নিত্যদিনের বাজার নিয়ে মহাবিপাকে
প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা সিলেট জুড়ে মহাবিপাকে পড়েছেন মধ্যবিত্তরা। নিত্যদিনের বাজার নিয়ে পরিবার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেকের। প্রতিদিন বাড়ছে মাছ, মাংস, ডিম, মুরগি ও সবজি দাম।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) নগরীর বন্দরবাজার ঘুওে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৫০ টাকা। বেলা ৪টায় গিয়ে দেখা যায়, নগরীর লালবাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। ২ কেজি ওজনের লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। তবে এলাকার বাজার এবং পাড়া মহল্লায় ব্রয়লার মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা ও লাল মুরগি ৩৩০-৩৫০টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বন্দরবাজারের বিভিন্ন দোকানে গরুর মাংস ৭০০-৭২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও নগরীর বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক বাজারে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
নগরীর বন্দরবাজারস্থ লালবাজার ঘুওে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৫০-৫০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-৭০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, কৈ মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫০০-৫৫০ টাকায়, ফাঙাশ ও তেলাপিয়া মাছ ১৭০-১৮০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মুদি বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন কওে বেড়েছে ডাল ও ছোলার দাম। চিনির সংকট এখনও কাটেনি। রোববার সিলেটের বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ১০০-১০৫ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ৯০-৯৫ টাকা ছিলো। একই ভাবে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বুটের ডাল ৯৫-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও কমেনি আদা-রসুনের দাম। প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১৪০-২০০ টাকা ও রসুন ১৬০-২০০ টাকা দরে। এছাড়া তেল, চিনি, আটা, ময়দা, গুঁড়া দুধসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আগের বাড়তি দামে আটকে রয়েছে। বাজারে শুধু তুলনামুলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও আলু। রোববার নগরীতে ২৫-৪০ টাকা কেজি পেঁয়াজ ও ২০-২৫ টাকা কেজি ধরে আলু হতে দেখা গেছে।
শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারে- বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ টাকা কেজি, কুমড়া সাইজভেদে প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন কেজি ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০-৭০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১০০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবু সাইজভেদে হালি ৩০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর বন্দরবাজারের এক মুদি দোকানী জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে শুধু ক্রেতা নয় আমরা বিক্রেতারাও বিব্রত। অনেক পরিচিত ক্রেতা যেখানে ১ কেজি ডাল কিনতেন সেখানে তিনি মাত্র ২৫০ গ্রাম ডাল কিনতে আসছেন। কিন্তু আমরা কি করবো। আমাদের লাভ অনেক কমেছে। ৫০০ টাকা দামের পণ্য বিক্রি করে আগে যেখানে ৫০-৬০ টাকা লাভ হতো। সেখানে ১০-২০ টাকা লাভ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদেওংষধস দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিলসহ সকল খরচ বেড়েছে। আমরা কার কাছে বলবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন