জবি মিলনায়তনে নষ্ট এসি, মেরামতে অসামর্থ্য প্রশাসন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র এবং কেন্দ্রীয় মিলনায়তন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিচতলায়, যার ভিতরে প্রায় বিশটি এসির সবগুলোই নষ্ট।
৩৬ টি বিভাগ ও ২ টি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে প্রায় বিশ হাজার শিক্ষার্থী ও সাতশত শিক্ষক নিয়ে রাজধানী ঢাকায় সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। আবাসিক সুবিধাবঞ্চিত এতো এতো শিক্ষার্থীর সুখ, দুঃখ, আনন্দ সব এই ক্যাম্পসকে ঘিরেই। বছরে একবার বিভাগের নবীনবরণ,প্রক্তনদের পূনর্মিলনী, কতিপয় কিছু সেমিনার আর অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করেই আনন্দ উৎসব চলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। যার মূল ভেন্যু নির্ধারিত হয় কেন্দ্রীয় মিলনায়তন। ৩৮ টি বিভাগের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫টির বেশি সংগঠনের অনুষ্ঠান যেখানে সম্পন্ন হয় সেখানে নেই প্রয়োজনীয় সুবিধা সমূহ।
অডিটোরিয়ামে থাকা ২০ টি এসি, যার একটিও কার্যকর না। ধারনক্ষমতা কম অথচ অধিকাংশ চেয়ার ভাঙা। কোনোমতে কাজ চলে এমন এক জোড়া সাউন্ড সিস্টেম থাকলেও প্রজেক্টরের ব্যবস্থা নেই সেখানে।বিশেষ অতিথি হিসেবে মান্যগন্য লোকজনদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ে আসলেও বসতে দেওয়ার মতো গেই গেস্টরুম। অডিটোরিয়াম এর এতো সমস্যা জানার পরেও কারো কোনো উদ্বেগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক মানের কোনো কনফারেন্স করতে চাইলে পোহাতে হয় বিরাট ধকল। অডিটোরিয়ামে প্রোগ্রাম শেষ করে হতাশার সুরে কিছু শিক্ষার্থী জানায়, ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটু মান সম্পন্ন অডিটোরিয়াম না থাকা সত্যিই দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সমস্যা থাকলেও বাজেটে কেনো শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে যথাযোগ্য উদ্যোগ নেওয়া হয় না, সে বিষয়ে প্রশাসনের জোড়দার নজর দেওয়া দরকার।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, “এসি তো চলবে না। আমরা এগুলো ঠিক করার জন্য স্পন্সর চেয়েছি। টাকা পেলে কাজ করবো।” জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যানের পরিচালক অধ্যাপক ড আইনুল ইসলাম বলেন, ” এটা নিয়ে আমি উদ্যোগ নিচ্ছি। এক জায়গায় আমরা এক লক্ষ টাকা স্পন্সর চেয়েছি। টাকা পেলেই কাজ শুরু হবে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরে তলব করে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার খাত থেকে টাকা নিয়ে কাজ করা হয়। তবে অডিটোরিয়াম এর আলাদা কোনো বাজেট বরাদ্দ নেই। বড় সংস্কার প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে স্পন্সর নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রকৌশলী দপ্তরই এ বিষয়টি দেখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র এই অডিটোরিয়ামটি সংস্কার করা ও শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে দ্রুততম সময়ে উদ্যোগ নিতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যদি অসামর্থ্য হয় তবে উর্দ্ধতনদের দৃষ্টি আকর্ষণ এখন সময়ের দাবী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন