ঝালকাঠিতে ছেলের খাতনা অনুষ্ঠান না করে গরীবদের দিলেন রিকশা উপহার

ঝালকাঠিতে মানবতার ফেরিওয়ালা সমাজসেবক ছবির হোসেনের ২টি রিকশা উপহার পেয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরলো শাহেব আলী ও বাচ্চু হাওলাদারের নামে দুই অসহায় ব্যক্তির।

আলোকিত মানুষ হিসেবে পরিচিত গরিব অসহায় মানুষের বন্ধু বিশিষ্ট ঠিকাদার যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন আবারো দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঝালকাঠিতে।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকাল ১১ টার সময় ঝালকাঠি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দুই অসহায় পরিবারের মাঝে দুটি রিকশা উপহার দিয়েছেন। রিকশা উপহারের বিষয়ে ছবির হোসেন বলেন, আমার একমাত্র ছেলের সুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠান না করে অসহায় দুটি পরিবারের মাঝে দুটি রিকশা উপহার দিয়েছি। রিক্সা দুটি চালিয়ে ওনারা নিজেদের পরিবারের মুখে দুমুঠো খাবার তুলে দিবেন। অনুষ্ঠান করে অনেক লোককে খাওয়াতে পারতাম। আমি চিন্তা করলাম অনুষ্ঠান না করে দুটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করে দিবো তারা সব সময় আমার জন্য দোয়া করবে।

তিনি আরোও বলেন, মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে তৃপ্তি পাই। কারও কাছ থেকে কিছু হাত পেতে কিছু পাওয়ার চেয়েও দিয়ে শান্তি ও আত্মতৃপ্তি পাই। মানুষকে কিছু দিয়ে সহযোগীতা করা এখন নেশায় পরিনত হয়েছে।

উপহার পাওয়া মোঃ বাচ্চু হাওলাদার বলেন, ছবির ভাই আমাকে যে রিকশা উপহার দিয়েছে রিকশা চালিয়ে আমি সন্তানদের মুখে দু মুঠো খাবার তুলে দিতে পারব, লেখাপড়া করাতে পারবো। নামাজ পড়ে সব সময় ছবির ভাইয়ের জন্য দোয়া করবো।

উপহার পাওয়া সাহেব আলী হাওলাদার বলেন, আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে আমার রিকশা খানা অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিক্রি করতে হয়েছে সেই কথা জেনে ছবির ভাই আমাকে একটা রিক্সা উপহার দিয়েছেন। এই রিক্সা চালিয়ে আমি আমার সংসারের খরচ যোগাতে পারবো। আমি ছবির হোসেনের জন্য সব সময় দোয়া করি সব সময় যেন অসহায় মানুষের উপকার করে যেতে পারেন।

তিনি আরো বলেন সমাজে অনেক বিত্তবান মানুষ রয়েছেন সকলে যদি এভাবে এগিয়ে আসতো সমাজে কোন অসহায় মানুষ থাকত না। রিক্সা উপহার বিষয়ে রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাহারুল মাজি বলেন, এর আগেও ছবির হোসেন অনেক অসহায় পরিবারকে সাহায্য করেছেন উনার মত সবাই যদি এগিয়ে আসতো সমাজে আর অসহায় মানুষ থাকত না।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় ছবির হোসেন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, ঘরে তুলে দেয়া, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়াসহ একেরপর মানুষের পাশে থেকে সহযোগীতা করে আসছেন।