হাশরের মাঠে মানুষ বারটি ছুরত (আকৃতি) ধারণ করবে !

সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। সাইয়্যিদুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরুদ শরীফ ও সালাম। হাশরের ময়দানে বান্দা তার দুনিয়াবী জীবনের কৃতকর্মের হিসাব-নিকাশ দেয়ার জন্য নিজেদের কর্মফল অনুযায়ী হাশরের মাঠে পুনরুত্থিত হবে।

(০১) দুনিয়ার জমিনে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী লোকেরা বানরের আকৃতিতে।
(০২) দুনিয়ার জমিন থেকে হারাম বস্তু ভক্ষণকারী লোকেরা শুকরের আকৃতিতে উঠবে।
(০৩) দুনিয়ার জমিনে অন্যায়ভাবে বিচারকারীগন অন্ধের আকৃতিতে উঠবে।
(০৪) মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকারী লোকেরা আগুনে পুড়ে ক্ষত-বিক্ষত দেহাকৃতি নিয়ে উঠবে।
(০৫)যে সব আলেম লোকদের কথায় এবং কাজে মিল ছিল না তাদের মুখ হতে রক্ত প্রবাহিত হতে থাকবে। কারন তার জিহ্বা লম্বা হয়ে বুক পর্যন্ত ঝুলতে থাকবে, জিহ্বাকে ছোট করার জন্য জিহ্বা কাটার কারণে রক্ত প্রবাহিত হওয়া অবস্থায় উঠবে।
(০৬) ইবাদাত-বন্দেগীত অহংকারী লোকেরা অন্ধ এবং বোবা হয়ে উঠবে।
(০৭) জিনাকার(ব্যাভিচারী) লোকদের দুই পা মাথার চুলের সাথে কপালের উপর বেঁধে দেওয়া হবে, এ অবস্থায় তারা হাশরের মাঠে উঠবে।
(০৮) মসজিদে বসে যেসব লোক গল্পগুজব করেছে সে সকল লোকেরা মাতাল অবস্থায় উঠবে।
(০৯) চোগলখোরদের জিহ্বা অনেক দূর লম্বা করে উঠানো হবে।
(১০) আল্লাহ পাক উনার হুকুম মুবারক অমান্যকারীরা ও তা আদায়ের ব্যাপারে অবহেলাকারী লোকেরা মাতালের মত এদিক-সেদিক হেলা-দোলা অবস্থায় উঠবে।
(১১) নিন্দুক, দুর্নাম রটনাকারী, চোগলখোর লোকেরা গন্ধকের (সুই/সুচের চেয়েও ধারালো) জামা পরিহিত অবস্থায় উঠবে।
(১২) সুদখোর লোকেরা শুকরের আকৃতিতে উঠবে। তথ্যসূত্র- মরণের আগে ও পরে, পৃষ্ঠাঃ- ৪৯ লিখকঃ-হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি। আয় বারে ইলাহী আমাদের সবাইকে যামানার ইমাম ও মুযতাহিদ রাজারবাগ শরীফের হযরত মুজাদ্দিদে আযম মুরশিদ কিবলা আলাইহিস সালাম উনার উসিলায় সবাইকে পূর্ণ ঈমান্দার হিসেবে কবুল করে ইন্তিকাল দান করুন, সর্বদা সম্মানিত ইসলাম উনার উপর ইস্তিকামত (অটল/দৃঢ়) থাকার তওফীক দান করুন।