জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ২৮ এপ্রিল জাতীয় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৩’ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতার পর তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)-এর সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন। কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা শিল্প মালিক ও সরকারের দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’।

জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসকল কল্যাণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশে বিগত এক দশকে শিল্প-কারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আসন্ন চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি গ্রহণসহ কর্মক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সাথে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে। শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে আমি সরকার, মালিক, শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।
আমি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”