সরকার আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে যেতে চায় : শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার আগামী প্রজন্মের জন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে যেতে চায়।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এবছর অষ্টমবারের মতো “নিশ্চিত করি শোভন কর্মপরিবেশ, গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় পর্যায়ে দিবসটি পালন করছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম মন্ত্রণালয় সারা দেশের প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের সকল শ্রমিককে ডাটাবেজ এর অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করেছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য ইনজুরি স্কিম চালু করা করেছে এবং শ্রমিকদের সার্বজনীন পেনশন চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের পেশাগত রোগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা, প্রতিরোধে গবেষণা, মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে রাজশাহীতে ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে, খুব শীঘ্রই এ ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি জানান।
মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, শ্রম বিধিমালা, ২০১৫কে সম্প্রতি যুগোপযোগী করে সংশোধন করা হয়েছে। শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ শ্রম আইন আবারো সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশোধিত এই শ্রম আইন অর্থনৈতিক অঞ্চলেও কার্যকর হবে। ইপিজেড এলাকায় শ্রমিকদের জন্য শ্রম বিধিমালা কার্যকর করা হয়েছে। সরকারের এসকল কার্যক্রমে শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদী।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার শ্রমিকদের যে কোনো সমস্যার সমাধান, তাদের কল্যাণ এবং জীবনমান উন্নয়নে রাত দিন কাজ করছে। তিনি বলেন, শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যা কর্তৃপক্ষকে জানালে, তৃপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ আছে তাদেরকে জানালে কিংবা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রীকে জানালে শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষায় যে কোনো সমস্যার সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, অযথা দেশের বিরুদ্ধে আইএলওসহ অন্য কোনো সংস্থার কাছে অভিযোগ দিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহীর সভাপতিত্বে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, কানাডিয়ান হাইকমিশনের হেড অভ্ কো-অপারেশন জো গুডিংস, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেন, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির, বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খসরু চৌধুরী, বিকেএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মানসুর আহমেদ ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন