কুড়িগ্রামে ১৪টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মধ্যে ১৩ টি ইউনিয়নে সার্ভার সমস্যা; সেবাগ্রহীতারা বিপাকে
২০১০ সাল থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কুড়িগ্রামে জনসাধারণকে তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের দেয়া সুযোগ সুবিধা হাতের নাগালে পেঁৗছে দেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র।
সে সময় উদ্যোক্তারা ইন্টারনেট মেগা কিনে সেবা প্রদান করতো। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কুড়িগ্রামের ১৪ টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টারে বিটিসিএল এর সার্ভার স্থাপন করা হয়। তবে বর্তমানে ১৪ টির মধ্যে ১৩টি সার্ভার অযত্ন আর অবহেলায় এবং কতৃপক্ষের উদাসীনতায় বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। আর বিপাকে পড়েছে সেবা গ্রহীতারা।
একদিকে তাদের যেমন সময় ক্ষেপন হচ্ছে অন্যদিকে বাইরে কাজ করতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে অধিক অর্থ। কুড়িগ্রামে ৭২ টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৪ টি ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার এর মাধ্যমে সরকারের দেয়া সুয়োগ সুবিধা হাতের নাগালে পায় তৃণমুলের জনগন। এ সেন্টারগুলো সকল তথ্য ও সেবা প্রদান করে আসলেও সার্ভার সমস্যার কারনে মুখ থুবড়ে পড়েছে এই সেবা।
কুড়িগ্রামের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ১২ টার সময় গিয়ে দেখা যায় ডিজিটাল সেন্টারটি তালাবন্ধ,চেয়ারম্যানের কক্ষও ফাঁকা। সচিব জানালেন প্রিন্টার মেশিন খারাপ তাই তিনদিন ধরে উদ্যোক্তা আসেনা। আবার অন্যজন জানালেন পাশেই তার দোকান সেখানেই সব কাজ হয়।
দীর্ঘদীন থেকে ব্রডব্যান্ড লাইন ও সার্ভার সমস্যায় লাইন বন্ধ তাই বাধ্য হয়ে দোকানে বসে কাজ করেন বলে জানালেন
উদ্যোক্তা জয়নাল আবেদীন। ব্রডব্যান্ড লাইনের সমস্যার কথা বারবার বলা হলেও তার সমাধান হয়নি বলে জানালেন
সিংক আব্দুল বাতেন,চেয়ারম্যান পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদ
তবে ১৪ টির মধ্যে সচল রয়েছে হলোখানা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারটি। আর এটি সেবা প্রদানের দিক থেকে পেয়েছে দেশসেরার পুরস্কার।
উদ্যোক্তা সাইদুর রহমান জানান, হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারটিতে তিনি ও আর একজন সারী উদ্যোক্তা মিলে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা মাসে আয় করেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন সেবা নিতে আসে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন