কুড়িগ্রামের উলিপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে গ্রাম পুলিশসহ ৪জন আহত

কুড়িগ্রামে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নারীসহ ৪জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

১০ জুন (শুক্রবার) বিকাল ৩টায় বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাদী গ্রামের গ্রাম পুলিশ আবুল হাশেমের সাথে একই গ্রামের বাতেন গংয়ের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই অংশ হিসেবে ১০ জুন বিকেলে বাতেন গং ৮/১০জন দুর্বৃত্ত নিয়ে আবুল হোসেনের পৈত্রিক সম্পত্তিতে লাগানো  ৪টি গাছ কাটে। এতে বাঁধা দিলে বাতেন গংয়ের এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নারীসহ ৪জন আহত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল হাকিম ও  মুক্তা বেগম জানান, আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে আবুল কাশেম, বিপ্লব মিয়া, বাবলু, আব্দুর রহিম সহ ৮/১০জন লাঠি, ছোড়া, বল্লম, দা—কুড়াল নিয়ে হামলা চালায়। এসময় গুরুতর আহত হয়—বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবুল হোসেন (৬০), নুরনাহার বেগম (৫৫), নুর আমিন (২৯)  ও আক্তারা খাতুন (২৩) ।

আহতদের মধ্যে নূরনাহার বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বর্তমানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
গুরুতর আহত নূরনাহার বেগমের ছোট্ট ভাই রিয়াজুল ইসলাম সুমন এ প্রতিবেদককে জানান, আমার বোনের পরিবারের সকল সদস্য আহত হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি থাকায় এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি। 

তারা একটু সুস্থ হলে মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বলেন, আমার ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবুল হাশেম ও তার পরিবারের উপর হামলায় আহতের ঘটনা শুনেছি। সাদী গ্রামের আব্দুল বাতেন কলহপ্রিয় মানুষ। প্রায় সময় হামলা—মামলায় জড়িয়ে থাকেন। গাছ কাটার ঘটনাটি পূর্বের সালিশ বৈঠকের মিমাংসা না মেনে তারা হামলা চালিয়েছে। যা দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুজ্জামান বলেন, ঘটনার শোনার পরপরই পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।