কুরবানির পশুর চামড়ার দাম ছয় শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ : বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কুরবানির পশুর চামড়ার দাম ছয় শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম নিয়ে কারসাজি করলে কাঁচা চামড়া (লবনযুক্ত) রপ্তানির অনুমতি প্রদান করা হবে।

রবিবার (২৫ জুন) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কাঁচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যালোচনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, এবছর লবণযুক্ত ঢাকায় গরুর চামড়া প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫-৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, লবণযুক্ত খাসির ও বকরির চামড়ার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযু্ক্ত গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা ছিলো ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। আর ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা।

টিপু মুনশি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থা হতে সম্মিলিতভাবে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে মনিটরিং কমিটি আছে।

চামড়াকে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ উল্লেখ করে এই চামড়া যেন নষ্ট না হয় সে বিষয়ে সবাইকে বিশেষ করে চামড়া শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে সতর্ক থাকার আহবান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদের পরবর্তী সাতদিন ঢাকায় বাইরের চামড়া যাতে না আসে সেজন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সারাদেশের লবণযু্ক্ত চামড়া পর্যায়ক্রমে ঢাকায় আনা হবে। দেশে এবছর রেকর্ড পরিমাণ লবণ উৎপাদন হয়েছে। লবণের কোনো ঘাটতি নেই। সবাই যেন লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করে রাখে।

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছাড়াও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।