খাগড়াছড়িতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৯টি উপজেলার উৎপাদিত আম যাচ্ছে সারাদেশে

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৯টি উপজেলার উৎপাদিত আম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিষ ও ফরমালিনবিহীন আম্রপালি, সোনালী, সূর্যডিম ও রাঙ্গুইসহ উন্নত নানা জাতের সুস্বাদু আমের ফলন হয়েছে বাম্পার। গুণগত মান ও স্বাদের ভিন্নতা থাকায় সারাদেশে চাহিদাও বেশি এসব আমের।

উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাংগা, গুইমারা, রামগড়, মানিকছড়ি, লক্ষ্য ছড়ি, সদরসহ ৯টি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আম সংগ্রহ স্তুপ করা হয়। পরে সেখানে কেউ ঝুড়ি বোঝাই করছে আবার কেউ ঝুড়ি নিয়ে চাঁদের গাড়িতে বোঝাই করছে। এসময় কথা হয় কয়েকজন শ্রমিকের সাথে।

রতন ত্রিপুরা নামে এক শ্রমিক জানান, উপজেলার বিভিন্ন বাগান থেকে আমগুলি ২০/৩০টাকা দরে কেনা হয়েছে। এখান থেকে আমগুলি খাগড়াছড়ি জেলা সদরে যাবে। সেখানে মান নির্ধারিত হয়ে আলাদা কার্টুন করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনী, সিলেট চলে যাবে।

জেলা সদর পান খাইয়া পাড়া সড়কে স্তুুপকারী ও বাগান মালিক মংবুলি মারমা জানান, প্রথমে আমার বাগানের মালমাল লোট-আনলোট করে আগাম চাওয়া ব্যবসায়ীদের কাছে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় আম ব্যবসা লস হয়, আবার লাভও থাকে। সঠিক নিয়মে নির্দ্দিষ্ট জায়গায় কোন অঘটন ছাড়া আম রাখার পরে নির্দ্দিষ্ট গন্তব্য স্থলে যথাসময়ে পৌছে দিতে পারলে পচুর লাভবান হওয়া যায়।

এব্যাপারে দীঘিনালা ফলদ বাগান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি চন্দ্র কিশোর ত্রিপুরা জানান, আমি উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ৫একর এলাকা জুড়ে আম এবং লিচু রোপণ করেছি। এবছর শুধু আম বিক্রি করেছি এক লাখ টাকার। পাইকাররা সব আম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন।

খাগড়াছড়ি বাগান মালিক সমিতি’র সভাপতি অনিমেষ চাকমা রিংকু জানান, জেলার ফলদ বাগান একটা খুবই লাভবান ব্যবসা। এখানে ঝূকি কম থাকে। আমরা ১৭টি’র বেশী বাগান মালিক নিয়ে সমিতি গঠন করি। বর্তমানে এসমিতির ২১জন সদস্য রয়েছে। তিনি আরো জানান আমাদের দেখাদেখি আরো নতুন নতুন বাগান সৃজন হচ্ছে।