নির্বাচনের আগে-পরের পরিস্থিতি নজরে রাখবে ইইউ
বাংলাদেশের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের এবং পরের পরিস্থিতির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নজর রাখবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
বৈঠকে মানবাধিকার পরিস্থিতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইইউ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায় জানিয়ে ইমন গিলমোর বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনের আগে ও পরে মানবাধিকারসহ সব ধরনের পরিস্থিতি নজরে রাখবে ইইউ। বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার। আমরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া ইইউর স্বাধীন বিশেষজ্ঞ দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইইউর প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল সফর শেষে ব্রাসেলসে প্রতিবেদন পেশ করবে। প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ সফরে আসেন ইইউ বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর। বাংলাদেশে এটি তার দ্বিতীয় সফর।
গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচনের প্রত্যাশার ইইউ মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির
গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ইমন গিলমোর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান।
গিলমোর বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানবাধিকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানবাধিকার। বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক সহযোগিতা অংশীদারত্ব চুক্তির মাধ্যমে বাড়ছে। এটি আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কেরও কেন্দ্রবিন্দু।
বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী। ইউরোপের বাজারে পণ্যের শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধার (জিএসপি) কারণে অস্ত্র বাদে যে কোনো কিছু রপ্তানি করতে পারবে বাংলাদেশ। এতে বাংলাদেশকে কোনো শুল্ক দিতে হবে না ইউরোপকে। বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানবাধিকারকে আরও শক্তিশালী করতে আমরা জোর দিচ্ছি। বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা আমি তুলে ধরেছি। বাংলাদেশ সরকার যে এ আইনে কিছু সংশোধনী আনার পরিকল্পনা নিয়েছে, সে সম্পর্কেআমি অবগত। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আলোচনা করছে। যখন আইনটি সংশোধন করা হবে, অর্থাৎ যেসব সংশোধনী আনা হবে, তা আমরা দেখার সুযোগ পাব বলেও প্রত্যাশা করছি।
মানবাধিকার বিষয়ক এ প্রতিনিধি আরও বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচন আসন্ন। আমরা আশা করছি, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে বলেও প্রত্যাশা করছি।
এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচনী অনুসন্ধানী দল বাংলাদেশ সফর করেছেন। এখন বাংলাদেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠানো হবে কি না; সেই সিদ্ধান্ত নেবেন ইইউ বৈদেশিক নীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ ব্যারেল। মোট কথা সুশীল সমাজের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ দরকার বলে আমরা জানিয়েছি। যে কোনো দেশের সুশীল সমাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও মুক্ত গণমাধ্যম নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন