২০১৮ সালে বিদেশি কূটনীতিকদের এত সক্রিয় দেখিনি: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে বিদেশি কূটনীতিকেরা এতটা সক্রিয় ছিলেন না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন আর ২০২৩ সালের নির্বাচনের বাস্তবতা একই কি না, জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, আমি কোনো পরিবর্তন দেখি না। তারা (কূটনীতিক) বলতে পারবেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাদের এতটা সক্রিয় দেখিনি এখন তারা যতটুকু সক্রিয়। এবার তারা অনেক দিন আগে থেকেই সক্রিয় হয়েছেন। এর উদ্দেশ্য ও কারণ তারা বলতে পারবেন। তবে পরিষ্কারভাবে বলি, কে নির্বাচনে এল বা এল না—এটা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বা গণতন্ত্র গ্রহণযোগ্য কি না, সেটার নিয়ামক নয়।
গত ১৭ জুলাই ঢাকার উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তবে সেই হামলাকে তিনি নির্বাচনী সহিংসতা বলতে চান না।
তার মতে, এটি নির্বাচন শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগে হয়েছে এবং এটি নির্বাচনের ফলাফলকে কোনোভাবে প্রভাবিত করেনি। হিরো আলমের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে ১৩ রাষ্ট্রদূতের দেওয়া বিবৃতিতে ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন হয়েছে এবং সরকার ওই দেশগুলোকে বিষয়টি জানিয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ জন কংগ্রেস সদস্য জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ডকে লেখা এক চিঠিতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন। এর আগেও একাধিক কংগ্রেস সদস্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই চিঠিগুলোকে সরকার ‘গুরুত্ব দিচ্ছে না’ বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন