বিসিএস ক্যাডার হলেন যশোরের রাজগঞ্জ এলাকার দুই কন্যা

সুমনা পারভীন মিতা ও ফারহানা ইয়াসমিন মিম। এরা দুজনই রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠ ও রাজগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের গর্ভীত ছাত্রী ছিলো। এদের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার ঝাঁপা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হানুয়ার ও খালিয়া গ্রামে।

এরা দুজনই এবার ৪১তম বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। সুমনা পারভীন মিতা (মেধাক্রম-১২) প্রশাসনিক ক্যাডারে আর ফারহানা ইয়াসমিন মিম (মেধাক্রম-২১) সাধারন শিক্ষা ক্যাডারে এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন।

গত ৩ আগস্ট সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএসের চুড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে।

সুমনা পারভীন মিতা রাজগঞ্জ এলাকার হানুয়ার গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক শহিদুল ইসলাম ও রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আরিনা খাতুনের কন্যা আর ফারহানা ইয়াসমিন মিম একই এলাকার খালিয়া গ্রামের ছোট্ট ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক ও গৃহিনী জামিলা পারভীনের কন্যা।

রাজগঞ্জ শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন- তারা দুজনই আমার বিদ্যাপীঠের মেধাবী ছাত্রী ছিলো। এসএসসিতে এ+ পেয়ে খুব ভালো ফলাফল করেছিলো। তাদের এই ধারাবাহিক সাফল্যে আমিসহ আমার বিদ্যাপীঠের সকল শিক্ষক/কর্মচারীরা উচ্ছ্বসিত।

সুমনা পারভীন মিতার পিতা শহিদুল ইসলাম বলেন- আমার মেয়ের এই অর্জনে আমি এবং আমার সহধর্মীনি অনেক অনেক খুশি। মহান আল্লাহ আমাদের মনের আশা পূর্ণ করেছেন।

ফারহানা ইয়াসমিন মিম বলেন- আমার এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি মহান আল্লাহর নিকট। তারপর আমার পিতা-মাতা, শিক্ষা জীবনের সকল শিক্ষক, আত্মীয়স্বজন, আমার প্রয়াত চাচা আব্দুল মান্নান এবং আমার প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের একমাত্র শিক্ষক প্রয়াত আঞ্জুমান আরা ম্যাডামের প্রতি।

সুমনা পারভীন মিতা বলেন- ৪১তম বিসিএসের ফলাফলের তালিকায় স্থান পেয়ে সত্যিই আপ্লুত হয়েছি। আমি সব সময় মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের স্বপ্নপূরণের জন্য সর্বদা প্রার্থনা করেছি। সৃষ্টিকর্তা আমার স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন।

সর্বোপরি সরকারের কর্মচারী হিসেবে দেশ ও জাতির সেবা করে যেতে চান বলে জানান তারা।