চুয়াডাঙ্গায় সড়ক আইন বাস্তবায়নে অবহেলা; ঝরলো হারুনের প্রাণ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সড়ক দুর্ঘটনায় অফিস সহকারীর মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গায় একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় অকাল মৃত্যু ঘটলেও কোনো প্রকার সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেই ট্রাফিক বিভাগের। সড়ক আইন থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবায়ন নেই যুগযুগেও। ফলে প্রতিনিয়তই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করছে পথচারী শিশু নারীসহ বৃদ্ধরাও।

এদিকে, দায়িত্ব পালনে ট্রাফিক বিভাগের অবহেলা থাকায় শুধু শুধু সড়ক আইন পাস করাও যেন বৃথা হয়ে পড়েছে। যার ফলে সড়ক আইন সম্পর্কে সচেতনতাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে মানুষের মাঝে। যার জবাবদিহিতাসহ দায়ভার কোনোভাবেই এড়াতে পারেনা ট্রাফিক বিভাগ। অথচ বার বার আইনশৃঙ্খলা সভায় সড়ক আইন সম্পর্কিত উত্থাপন করা হলেও প্রকৃতপক্ষে যুগযুগ ধরেও সড়ক আইন বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তবে তা কেন হচ্ছে না এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বারবারই আস্থা হারাচ্ছে চুয়াডাঙ্গাবাসী। আর এভাবেই প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় নিথর হয়ে পড়ছে তাজা তাজা প্রাণ।

তারই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ইজিবাইকের সাথে মোটরসাইকেল সংঘর্ষ হয়ে হারুন—অর—রশিদ (৫০) নামের এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। সেইসাথে তাঁর স্ত্রীর হাতের ও মাজার হাড় ভেঙে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ব্রাক অফিসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

হারুন—অর—রশিদ ওই উপজেলার ছাতিয়ানতলা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষ ও পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে, শুক্রবার হারুন—অর—রশিদ মোটরসাইকেলে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মার্কেটসহ অন্যান্য কাজ করতে আসেন। কাজ শেষ করে নিজ বাড়ী ছাতিয়ানতলা গ্রামে ফিরছিলেন। পথে দামুড়হুদা ব্রাক অফিসে সামনে পেঁৗছালে সামনের দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাঁর হাত—পা ভাঙাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়ে মারত্মকভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। আর মোটরসাইকেলে থাকা তাঁর স্ত্রীও মারাত্মকভাবে আহত হলে স্থানীয়রা তাঁদেরকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আর মারাত্মকভাবে আহত তাঁর স্ত্রীকে ঢাকায় রেফার্ড করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। হারুনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, ওপারেশন) শফিউল আলম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।