নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক : মোস্তফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরাই হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সৈনিক। তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে তৈরি করতে ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যে একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রি সমন্বিত উদ্যোগে বর্তমান কর্মজীবনের উপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রবর্তনের বিকল্প নাই।
মন্ত্রী শনিবার (১৯ আগস্ট) ঢাকায় বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে ন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেটকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জ্ঞানভান্ডার আখ্যায়িত করে বলেন, জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন। ভাষা কেবল একটি বাহন বলে উল্লেখ করেন কম্পিউটারে বাংলাভাষার এই উদ্ভাবক। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মকে উপযুক্ত পরিবেশ এবং সুযোগ দিতে পারলে তাদের পক্ষে ভালো সুফল অর্জন করা সম্ভব। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ের গায়রা গ্রামের একজন তরুণ গোটা এলাকার জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে। তাদের উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর ঐ গ্রামের তিন শতাধিক ছেলে মেয়ে প্রত্যন্ত পাহাড়ে বসে প্রতিমাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করছে। একই অবস্থা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার আহমেদপুর গ্রামে। হাওরের এই প্রত্যন্ত গ্রামে এখন ৪৮জন প্রোগ্রামার আউট সোর্সিংয়ে প্রোগ্রাম তৈরি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
১৯৮৭ সাল থেকে সাঁইত্রিশ বছর ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে প্রকাশনা ও মুদ্রণ শিল্পে সিসার হরফের পরিবর্তে কম্পিউটারে বাংলা সংবাদ পত্র প্রকাশ করেছি। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যমে এক বছরের পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীরা অনায়াসে তিন মাসে শেষ করতে পারছে। মন্ত্রী বলেন, প্রচলিত পেশা কিংবা বাবা দাদাদের পেশা নিয়ে ভবিষ্যতে টিকে থাকা যাবে না। ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আবশ্যক।
মন্ত্রী আগামীর পৃথিবীর জন্য নতুন প্রজন্মকে তৈরি করার দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীন রাষ্ট্র দিয়েছেন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বীজ বপন করে গেছেন। শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে জাতিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম তিনি শুরু করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুখী -সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার চূড়ান্ত পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানে নেক্সট ভেঞ্চারের সিইও সৈয়দ আবদুল্লাহ জায়েদ বক্তৃতা করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন