শোকের মাসে মারামারি, ৮ ছাত্রলীগ কর্মী সাময়িক বহিষ্কার

শোকের মাসের অনুষ্ঠান শেষে মারামারিতে জড়িত থাকার ঘটনায় ৮ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সংগঠনটির সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়। একইসঙ্গে তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের ব্যাপারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন- শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শামীম রেজা, একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পারভেজ হোসেন বানাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির খান এবং একই বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল কাদের ও আকিব মাসুদ অনুভব, শেখ রাসেল হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিক কুরাইশী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী ও হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহাদুল্লাহ সিদ্দিকী সাইমুন এবং ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাসিন আজাদ।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর জায়গা হবে না। ওইদিন যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেটার তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আট কর্মীকে বহিষ্কার করেছি এবং তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করেছি। ছাত্রলীগ বরাবরই শিক্ষার্থীবান্ধব সংগঠন।

এর আগে, গত রোববার (২০ আগস্ট) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ শীর্ষক আলোচনা সভা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনের সামনে ছাত্রলীগকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষার্থী মুফতাঈন আহমেদ সাবিককে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠে। এছাড়া আরো ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।