বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ছাত্রলীগ : এনামুল হক শামীম
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলা গড়তে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শের নীতি ধারণ করে সততা, নিষ্ঠা ও নীতি নিয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রলীগের দীর্ঘ ঐতিহ্য ও গৌরব ধারণ করে সততা ও আদর্শ নিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ছাত্রসমাজকে নিয়ে কাজ করতে হবে।
জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজে ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাকসু’র সাবেক ভিপি শামীম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু মানে একটি ইতিহাস, একটি দেশ ও একটি পতাকা। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। তাই বঙ্গবন্ধুকে কখনো বাংলাদেশ থেকে কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি বেঁচে থাকলে বিশ্ব নেতা হতেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সত্ত্বা। বঙ্গবন্ধু বাংলদেশের হৃদয়। বঙ্গবন্ধুকে স্বশরীরে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শ, শিক্ষা বাঙালীর হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই, বঙ্গবন্ধু চিরঞ্জীব।
এনামুল হক শামীম আরও বলেন, যে সংগঠন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গড়ে তুলেছিলেন মাতৃভাষা আদায়ের জন্য; যে সংগঠন এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখে গেছে; যে সংগঠন এদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে; সেই সংগঠনের নামই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যারাই অগ্নিসন্ত্রাস করে দেশকে উৎতপ্ত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। আগামী নির্বাচনেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করতে কাজ করে চলছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে একটি যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষানীতি করেছেন। দেশে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছেন। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব করছেন। গত১৪ বছরে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই, অস্ত্রের মহড়া নেই, সেশন জট নেই। এখন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া শেখ হাসিনার সরকারের অনন্য কৃতিত্ব। বিনামূল্যে সম্পূর্ণ রঙ্গিন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত। তার কারণেই দেশে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। আর জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ছাত্রদের অস্ত্র দিয়েছিলেন। তাদের আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাদের আমলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পরিণত হয়েছিল। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শাপলা চত্বরে ছাত্রদের হাতে বই-খাতা–কলম তুলে দিয়ে বলেছিলেন ‘অস্ত্র নয় বই কাগজ-কলমই হচ্ছে ছাত্রদের প্রকৃত হাতিয়ার।’
শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার রাহাত মোড়লের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম আশিকের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন৷ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক ড. সিদ্দিকুর রহমান। বিশেষ আলোচক ছিলেন, কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোহসিন কবীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন, সহ-সভাপতি নুর এ আলম আশিক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ খাঁন শুভ প্রমূখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন