শোক দিবস উপলক্ষে ইবি প্রশাসনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভা কক্ষে কবি নজরুল ইনস্টিটিউডের পৃষ্ঠপোষকতায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি শিরিনা খাতুনের সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচক হিসেবে কবি নজরুল ইনস্টিটিউডের নির্বাহী পরিচালক এ এফ হায়াতুল্লাহ ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এইচ এম আলী হাসান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউডের উপ-সচিব রায়হান কাওছার।

এর আগে কবি নজরুল ইনস্টিটিউডের তত্ত্বাবধায়নে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পরে দুপুর দেড়টার দিকে সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে নজরুল সংগীত পরিবেশন করা হয়।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙ্গমাতা একজন স্ত্রী হিসেবে সারা জীবন বাঙ্গালীর মুক্তির উৎসর্গ করেছেন। আর সেটা তিনি বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমে সম্পন্ন করেছেন। আমরা বড় বেইমান জাতি, বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানিরা মারেনি, আমরা মেরেছি। বাঙ্গালি বেইমান, এদের বিশ্বাস করা যায় না। এখন যাদের মুখ দিয়ে প্রচন্ড বঙ্গবন্ধুর কথা শুনা যায়, এরা শুধু মানুষকে প্রভাবিত করে, সমাজকে প্রভাবিত করে। বাস্তবে আর কিছু করে না। আজকে বঙ্গবন্ধুর ঋণকে প্রতিষ্ঠা করছেন শেখ হাসিনা। তাকে আজকে উৎখাতের জন্য আমরা উঠে-পেড়ে লেগেছি। বেইমান থেকে আমাদের মুক্ত থাকতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন,
বঙ্গমাতা এমন এক মহিয়ষী নারী, যে শেখ মুজিবকে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতায় পরিণত হতে সাহায্য করেছেন। এ মাসের বেদনাদায়ক ঘটনা আমি কারবালা বলবো না বরং কারবালা প্লাস। সেটা ১৫ আগস্টই হোক অথবা নভেম্বর হোক। এ দেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর উত্তর দেশ। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি অন্ধকার যুগ পেরিয়ে, একটি মলিন বাংলাদেশকে পেরিয়ে আলোকিত বাংলাদেশে রূপান্তর হয়েছে। আমরা এটাকে স্মরণ রাখবো এবং এভাবেই আমরা সমৃদ্ধ হবো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেন এক নতুন আবহাওয়া শুরু হয়েছে। যে আবহাওয়ায় এখন পাকিস্তান পাকিস্তান উচ্চারিত হয় না, শুধু উচ্চারিত হয় বাংলাদেশ। আর এর ভিত্তি রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু।