মঠবাড়িয়ায় মনগড়া নিয়মে শিক্ষক বদলি, নিজস্ব শিক্ষক ছাড়াই চলছে বিদ্যালয়
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের ‘প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে’ বদলির আদেশ সংক্রান্ত চিঠির অপব্যবহার করে বিদ্যালয়ে কর্মরত একজন মাত্র শিক্ষককে বদলি দিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন। বিদ্যালয়টিতে এখন নিজস্ব কোন শিক্ষক না থাকায় ধার করা শিক্ষক দিয়েই চলছে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম। আর এমন ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৪০ নং দাউদখালী বোর্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার দেবত্র গ্রামের এ বিদ্যালয়টিতে বিপ্লব চন্দ্র ঘরামী নামে একজন সহকারী শিক্ষক কর্মরত ছিলেন। বদলির অফিস আদেশ অনুযায়ী তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বছরের ১৬ জানুয়ারি তাকে ২৫ নং পূর্ব ফুলঝুড়ি (২) সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। কিন্তু বাস্তবে কর্মরত বিিদ্যালয় থেকে তাকে অবমুক্ত করা হয় মে মাসের ২৬ তারিখ।তখন বিদ্যালয়টিতে নিজস্ব শিক্ষক বলতে শুধুমাত্র এই একজন শিক্ষকই ছিলেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে ডেপুটেশনে এসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন।আর যে ২ জন শিক্ষক আছেন তারাও এসেছেন ডেপুটেশনে। শিক্ষক হাজিরা খাতা তালাবদ্ধ করে রাখেন আলমারিতে।উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশ ছাড়া শিক্ষক হাজিরা খাতা দেখাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তারা।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভাষ্কর চন্দ্র মিত্র বলেন,বিপ্লব চন্দ্র ঘরামীর ব্যাংকে চাকরি হয়ে গেছে। এজন্য সে নতুন কর্মস্থলে চলে গেছে।তবে এ তথ্যটি সঠিক নয় বলে তিনি পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন জানান,প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ২৬ এপ্রিল প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলির আদেশ জারি সম্পর্কিত এক আদেশের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষক বিপ্লব চন্দ্র ঘরামীকে বদলি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক মিজ নিলুফার ইয়াসমিন জানান,বিদ্যালয়টিতে একজনও নিজস্ব শিক্ষক না রেখে ডেপুটেশন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন