সুপার ফোরে পাকিস্তানের সঙ্গী ভারত
পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচেও অনেকক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাদের। অবশ্য ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও সুপার ফোরে ঠিকই চলে যেত তারা। শেষ পর্যন্ত ভারত জিতেছে দাপটের সঙ্গেই। নেপালের ২৩০ রানের পর বৃষ্টির কারণে ২৩ ওভারে নেমে আসা ১৪৫ রানের লক্ষ্য ভারত পেরিয়ে গেছে ১০ উইকেট বাকি রেখেই, ফিফটি পেয়েছেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল। গ্রুপ ‘এ’ থেকে পাকিস্তানের সঙ্গী তারা।
আর তাতেই মিলিয়ে গেছে নেপালের বড় অঘটনের স্বপ্ন। নেপালের ব্যাটিং ইনিংস শেষ করার আগেই যেমন দলটির সাবেক অধিনায়ক পরশ খাড়কা টুইট করেছিলেন, ‘কী হবে যদি আমরা জিতে যাই? শুধুই একটা ভাবনা, কিন্তু যদি…।’ সেটি হয়নি। পাকিস্তানের বিপক্ষে আগেভাগেই থামা রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল—ভারতের দুই ওপেনার পেয়েছেন রানের দেখা। রোহিত অপরাজিত ছিলেন ৫৯ বলে ৭৪ রানে, গিল ৬২ বলে করেন ৬৭ রান। সুপার ফোরের আগে নিশ্চিতভাবেই সেটি আত্মবিশ্বাস জোগাবে তাদের, বিশেষ করে পাকিস্তানের বিপক্ষে অমন ব্যর্থতার পর।
টসে জিতে নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। প্রথম ৫ ওভারের মধ্যেই তারা নিতে পারত ৩টি উইকেট। কিন্তু শ্রেয়াস আইয়ার, বিরাট কোহলি ও ঈশান কিষান সহজ তিনটি ক্যাচ ছাড়ায় একটিও পায়নি তারা। কুশল ভুরতেল ও আসিফ শেখ—দুই ওপেনারই জীবন কাজে লাগিয়েছেন। শার্দূল ঠাকুর এসে জুটি ভাঙার আগে দুজন যোগ করেন ৬৫ রান। ভুরতেল ফিরলেও আসিফ ফিফটি পেয়েছেন, ৯৭ বলে করেছেন ৫৮ রান।
নেপাল অবশ্য মিডল অর্ডারে উইকেট হারায় দ্রুত। তবে গুলশান ঝা, দীপেন্দ্র সিং ঐরি ও সম্পাল কামি লড়াই করেন ঠিকই। ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরও ৪৮.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে এশিয়া কাপের নবাগত দলটি তোলে ২৩০ রান। তাতে মূল অবদান কামির ৫৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংসের। জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের বাইরে আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্যদেশের বিপক্ষে নেপালের এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। মোহাম্মদ সিরাজ খরুচে থাকলেও ৩ উইকেট নিয়েছেন, রবীন্দ্র জাদেজাও নেন ৩টি। সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকবেন বলে এ ম্যাচের আগেই দেশে ফিরে যাওয়া যশপ্রীত বুমরা ছিলেন না।
রান তাড়ায় করণ কেসির প্রথম ওভারের মুভমেন্টে ভুগেছেন রোহিত, যেন ফিরে এসেছে শাহিন শাহ আফ্রিদির স্মৃতি। তাঁর বিপক্ষে এলবিডব্লুর রিভিউও নেয় নেপাল, যদিও সেটি সফল হয়নি। দ্বিতীয় ওভারে গিল অবশ্য মারেন তিন চার। ২.১ ওভার পর নামা বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
এরপরই চড়াও হন রোহিত-গিল। মাঝে সন্দীপ লামিচানের বলে ডিপ মিডউইকেটে জীবন পান রোহিত, তারপর ফিরে তাকাননি আর। ভারত অধিনায়ক ফিফটি পূর্ণ করেন মাত্র ৩৯ বলে, গিলের লাগে ৪৭ বল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন