সিরাজগঞ্জে যমুনায় দফায় দফায় পানি বৃদ্ধি: ৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে সিরাজগঞ্জে দফায় দফায় যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ করতোয়া, ফুলজোড়, ইছামতি, হুড়া সাগর ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জে বড় ধরনের বন্যা না হলেও নিম্নাঞ্চলসহ ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে জেলার ২০৪ হেক্টর জমির প্রায় ৫ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে তিন দফায় পানি প্লাবিত হয় যমুনার নিম্নাঞ্চল। যমুনা নদীর অধ্যুষিত সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর, তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলার অন্তত ৪২টি ইউনিয়নের ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও কৃষকের। রোপা আমন, বোনা আমন, আমনের বীজতলা, আগাম শীতকালীন সবজি, আউশ, মাসকালাই, কলা ও আখসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে বেশি। চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত কাজিপুর উপজেলায় ১১১ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

জেলার এ সকল জমি প্রস্তুত করা, বীজ লাগানো, সার ও কীটনাশক দেওয়া এবং শ্রমিক বাবদ প্রায় আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ৪১৫১ জনের ফসল তলিয়ে যাওয়ায় মূলধন সংকটে পড়েছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক (ডিডি) বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, চলতি বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর দুই মাসে দফায় দফায় যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়ে ৯৫২ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে যায়। এর মধ্যে ২০৪ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে অন্তত ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। আশাকরি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনার আওতায় আনা সম্ভব হবে।