ভ্রাম্যমান আদালতে কাউন্সিলসহ দু'জনকে কারাদন্ড

কুড়িগ্রামে মাদক ব্যবাসায়ীদের এলাকাবাসীর ধাওয়া

কুড়িগ্রামে সাবেক কাউন্সিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকর ধাওয়া করে আটক করার পর ভ্রাম্যমান আদালতে তুলে দিলেন এলাকাবাসী। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী আকাশ মিয়া ও বারুদ মিয়া।

গত এক সপ্তাহ থেকে মাদকের বিরুদ্ধে একট্টা ঘোষণা করেছে পুরাতন স্টেশন এলাকার সচেতন অভিভাবক ও প্রতিবাদী যুবকরা। যুব সমাজকে রক্ষায় যে কোন মূল্যে মাদক নির্মূলের ঘোষণা দেয় তারা।

(৭ অক্টোবর) শনিবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম পুরাতন শহরের জলিল মোড় এলাকা থেকে চিহ্নিত দুই মাদক ব্যবসায়ী হেরোইন বিক্রির সময় এলাকাবাসীর ধাওয়ায় আটক হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতকে খবর দেয় এলাকাবাসী।

এ সময় তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৯(১) গ ধারা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. নজরুল দুখু মিয়া (৫০)কে ৩০দিনের কারাদন্ড সহ নগদ ১০০ টকা জরিমানা ও মো. বাবু মিয়া (৩৮) কে ৭দিনের কারাদন্ডসহ ও ১০০ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নজরুল ইসলাম দুখু কুড়িগ্রাম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং বাবু মিয়া পৌরসভার চর কুড়িগ্রাম এলাকার আবুল হোসেনের পুত্র।

ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে কারাদন্ড প্রদান করেন- কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাসেল দিও। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-ভ্রাম্যমান আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী মো. সোলায়মান আলী ও কুড়িগ্রাম সদর ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

পুরাতন স্টেশন এলাকার প্রতিবাদী যুবক মামুন হক বলেন, ‘আমরা গ্রামবাসী মাদক ব্যবাসায়ীদের ধাওয়া করে আটক করে প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়েছি। কিন্তু ভ্রাম্যমান আদালত চিহ্নিত মাদক ব্যবাসায়ীদের লোক দেখানো কারাদন্ড দিয়েছে এতে অপরাধীরা উৎসাহ পাবে। তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়া উচিত ছিল।

একই এলাকার কাউন্সিলর প্রার্থী আনিছুর রহমান শান্ত বলেন, ‘বেপরোয়া মাদক ব্যবসার কারণে আমাদের এলাকার যুবকরা এখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আমরা এলাকাবাসী সবাই এতট্টা হয়েছি যেকোন মূল্যে মাদক নির্মূল করবো।’

এ ব্যাপারে কথা হলে কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান জিরো টলারেন্স। এলাকাবাসী এভাবে এগিয়ে আসলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। আমরা এলাকাবাসীর সাথে আছি।’