ইবিতে শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত 

শেরপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরপুর জেলাকল্যাণ সমিতি ।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) ১১৬ নং কক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির নবীন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী উপহার প্রদানের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং একইসাথে প্রবীণ বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এসময় সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল মান্নান মেজবাহের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কে.এম. শরফউদ্দিন।
এছাড়াও সংগঠনটির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম রোমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম শোয়েব, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম, ইবি প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হোরায়রা, শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, ময়মনসিংহ বিভাগীয় ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি এবিএম রিজওয়াল উল হক ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসিবুল হাসানসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক নবীন ও প্রবীণ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাংলেদেশের গন্ডি  পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের এমন কোনো দপ্তর পাওয়া যাবে না যেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নেই। তারা তাদের মেধা ও পরিশ্রমের দ্বারা নিজেদের সেসব জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আশা করি তোমরাও তাদের পদাঙ্ক অনুসরন করবে। চলার পথে অনেক বাধাবিপত্তি আসবে। সকল বাঁধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাবে।’
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন খুবই সংক্ষিপ্ত। দেখতে দেখতে চারটি বছর শেষ হয়ে যাবে। তাই শুরু থেকেই তোমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। সে অনুযায়ী চলার মাধ্যমে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আশা করি জাতিকে একটি মানবিক মানুষ উপহার দেবে। দেশ ও মানবতায় সেবায় কাজ করে যাবে।’
এর আগে, সংগঠনটির নবীন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসামগ্রী উপহার প্রদানের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং একইসাথে প্রবীণ বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায়ী সম্মাননা স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।