জাতীয় পার্টি কারো সাথে জোটে যাবে না, ৩শ’ আসনে প্রার্থী দেয়া হবে- জিএম কাদের

জিএম কাদের বলেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩শ’ আসনেই প্রার্থী দেবে। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কারো সাথে জোটে যাবে না। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দামে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। অথচ সরকার উন্নয়নের গালগল্প শোনাচ্ছে। এসময় তিনি সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।

গাইবান্ধা ইসলামিয়া হাইস্কুল মাঠে জাতীয় পার্টি জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জি এম কাদের এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, দেশ এখন আমলাদের হাতে বন্দী। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে দুর্নীতিবাজরা অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে ফুলে ফেঁপে উঠেছে। তারা বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশকে প্রায় পঙ্গু বানিয়ে ফেলেছে।

জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক সাবেক এমপি আব্দুর রশিদ সরকার সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব সরওয়ার হোসেন শাহীন ও সদস্য রেজাউন্নবী রাজুর পরিচালনায় সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।

কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম, রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য রানা মুহাম্মদ সোহেল এমপি ও জহিরুল ইসলাম জহির এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপিসহ রংপুর বিভাগ ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, ঢাকা থেকে গাইবান্ধা জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা দেওয়া হবে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের গাইবান্ধা জেলার নতুন কমিটি ঘোষণা করবেন।

এর আগে সকাল থেকেই সম্মেলনে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন ইউনিট থেকে দলে দলে ব্যানার-ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে আসেন শত শত নেতাকর্মী। তারা আশা করছেন, এই সম্মেলন জেলার জাতীয় পার্টিকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করবে। তৃণমূলসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে এবার জেলা কমিটিতে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের সুযোগ দেওয়ার দাবি করেন তারা।