ত্রিশ পদের আচারের পসরা সাজিয়েছেন এক টেবিলেই

পথের পাশেই সামিয়ানা ও কাপড় বেঁধে করা হয়েছে ছোট্ট দোকান। সেই দোকানের এক টেবিলেই সাজানো ত্রিশ পদের আচারের পসরা। সেই পথে হেঁটে গেলেই বাতাসে ভেসে আসছে ঝাল-টক-মিষ্টি আচারের ঘ্রাণ।
মুখরোচক আচারের স্বাদ নিতে নানা বয়সী মানুষ ভিড় করছে দোকানে।

শনিবার দিবাগত রাতে এই চিত্রের দেখা মিলে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের বিজয় একাত্তর সড়কের সামনে।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সড়কটি আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে। সেখানেই সড়কের একপাশে বসেছে আচারের দোকান।
দোকানের নাম জুয়েল ভাইয়ের পঞ্চরসের আচার। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক জুয়েল মিয়া। তাদের মূল দোকান ময়মনসিংহ জেলা শহরের ভাটিকাশর এলাকায়।

তবে বিভিন্ন দিবস, উৎসব ও মেলা উপলক্ষে দোকানের বিক্রয় প্রতিনিধিরা আচার নিয়ে ছুটে চলেন দেশের নানা প্রান্তে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, আচারের দোকানের সামনের অংশ কাপড় দিয়ে ঘেরা ও উপরের অংশে পলিথিনের তাক। সেখানে রাখা লম্বা টেবিলে বড় বড় গামলার ভেতর শোভা পাচ্ছে আম, বড়ই, চালতা, তেঁতুল, আমড়া, খেজুরের আচার, চেরিফলের আচার, লাউয়ের মোরব্বা সহ ৩০ জাতের আচার।

আচারের পসরা ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউ কিনছেন বাড়িতে নেয়ার জন্য। কেউ কেউ আবার আচার কিনে দোকানের সামনে দাঁড়িয়েই স্বাদ নিচ্ছেন। আচার বিক্রি করা হচ্ছে সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে।
সালমা আক্তার মুক্তা বলেন, এসব আচার বাসায় তৈরি করা যায়। কিন্তু এতো পদের আচার একসাথে তৈরি করতে গেলে অনেক কিছুর প্রয়োজন। যে কারণে বাড়িতে আচার তৈরি করা হয়ে উঠে না। কিন্তু এত পদের আচার দেখলে তো আর লোভ সামলানো যায় না। তাই কয়েক পদের আচার কেনা।

সূপক উকিল বলেন, পূজা দেখতে এসেছিলাম। মন্ডপের প্রবেশপথে পাশে আচারের দোকান দেখে চোখ আটকে গেল। তেঁতুল, চালতা ও আমড়া এই তিন পদের আচার নিজেও খেয়েছি এবং বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছি।
বিক্রয় প্রতিনিধি মানিক তালুকদার বলেন, যদিও নারীদের কাছ আচার বেশি লোভনীয়। কিন্তু মেলায় ঝাল-মিষ্টি-টক আচার দেখে পুরুষেরও জিভে জল এসে যায়। এখন টুকটাক বিকিকিনি হচ্ছে। তবে পূজার অষ্টমী ও নবমীতে মন্ডপে দর্শনার্থী বাড়বে। তখন বিকিকিনি বাড়বে।