গাইবান্ধায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক সভা
দেশের সকল নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে সরকার। পেনশন কর্মসূচি বা স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছর বয়সের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদাদাতা।
দেশের মানুষের জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিমের বিধান রেখে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা জারি করা হয়েছে। অর্থ বিভাগ থেকে জারি হওয়া এই বিধিমালায় ‘প্রবাস’ ‘প্রগতি’, ‘সুরক্ষা’ ও ‘সমতা’ নামে চার ধরনের পেনশন স্কিম চালুর কথা বলা হয়েছে। তৃণমুল পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা শনিবার (২৮ অক্টোবর) গাইবান্ধা অবলম্বন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক প্লাটফরম জনউদ্যোগ, গাইবান্ধা এ সভাটির আয়োজন করে।
সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউল কামালের সভাপতিত্বে জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এজিএম জাহাঙ্গীর কবির, আদিবাসী নেতা ফিলিমন বাস্কে, রাজনীতিক গোলাম রব্বানী মুসা, নারী নেত্রী অঞ্জলী রানী দেবী, নাজমা বেগম, রবিদাস নেতা খিলন রবিদাস, সুনিল রবিদাস, শিক্ষক অশোক সাহা, সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সরকার সর্বজনীন যে সকল পেনশন স্কিম চালু করেছে, তার মধ্যে বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানরতদের জন্য প্রবাস স্কিম, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রগতি স্কিম চালু করেছে। তাছাড়া কৃষক, রিকশাচালক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতীদের জন্য সুরক্ষা স্কিম এবং দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা যাদের আয়সীমা বছরে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা, তাদের জন্য সমতা স্কিম চালু করেছে। এসব পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী জাতীয় পরিচয়পত্রধারী সকল বাংলাদেশি নাগরিক নিবন্ধন করতে পারবেন।
স্কিমে অংশ নেওয়ার তারিখ থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে ১০ বছর চাঁদা দিতে হবে। ১০ বছর চাঁদা দেওয়া শেষ হওয়ার পর থেকে আজীবন পেনশন পাবেন চাঁদাদাতারা। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় থাকা ব্যক্তিরাও সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করে পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।
বক্তারা আরো বলেন, যাতে তৃণমুল পর্যায়ে সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে সচেতন হতে পারেন এবং সঠিক তথ্য জানার সুযোগ পান সে জন্য সরকারি উদ্যোগে ব্যাপক প্রচার করা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদেরকে নমীনি করা যায় সেজন্য ভোটার আইডি’র পাশাপাশি জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যবহার করা এবং সারা বছর চিকিৎসার জন্য হেলথ কার্ডের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন