পাবনায় কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ: আসামীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও তার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় আসামীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৯ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা আইন দিয়ে প্রতিস্থাপিত) পৃথক ৩টি ধারায় আসামীকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। একই ঘটনায় ধর্ষণের মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারাধীন।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো: জিয়াউর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম শিরু (৫৬) পাবনার চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার মৃত মসলেম খলিফার ছেলে।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা বেগম বলেন, ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট সিরাজুল ইসলাম শিরু বাড়িতে একা পেয়ে ভুক্তভোগী ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে গলায় ধারালো চাকু ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন এবং এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন রাখেন। কাউকে জানালে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া এবং ওই কিশোরী ও তার ছোট ভাইকে খুন করে মরদেহ গুম করার হুমকিও দেন শিরু।

পরে ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক হলে শিরু হবু বরের কাছে ধর্ষণের ভিডিও পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে যৌন নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে শিরুর নামে পৃথক দুইটি মামলা করেন।

পিপি বলেন, এ ঘটনায় আসামীকে গ্রেফতারের পর পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় সিরাজুল ইসলাম শিরু দোষী সাব্যস্ত হন।

রায় ঘোষণার সময় আসামী শিরু কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে আদালতের নির্দেশে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায় পুলিশ।