তফসিল ঘিরে সতর্ক আ.লীগ, আন্দোলন জোরদারে বিরোধীরা

তফসিল ঘোষণা হলে বুধবার বিকালেই নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন। বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে জমায়েত শেষে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল শুরু করবে দলটি। তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। তফসিল ঘোষণাকে ঘিরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে এবি পার্টিও।

চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য শর্ত ছাড়া সংলাপে বসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ইসলামিক জোট ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে লিবারেল ইসলামিক জোটের উদ্যোগে ‘বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতা ও সংকট নিরসনে করণীয় শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণের মাধ্যমে ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা করছে পুলিশ। কর্মকর্তাদের ধারণা, তফসিল ঘোষণা হলেই নাশকতাকারীরা আরও বাস পুড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইবে। নির্দেশদাতাসহ বিরোধীদের গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের বিরুদ্ধে গণহারে গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলবে। তাই গণগ্রেপ্তার এড়িয়ে নাশকতার মামলায় সুনির্দিষ্ট আসামি করে তাদের আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের এসব বার্তা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে দুপুরে তিন ঘণ্টা ধরে অভ্যন্তরীণ এক বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর থেকে অবরোধ-হরতালে পুলিশের ভূমিকা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে থাকা কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আলোচনায় অতিরিক্ত কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনাররা দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। চলমান পরিস্থিতিতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মনোবল শক্ত রাখতে বলেন পুলিশ কমিশনার। কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।